10/29/2025 ইসরায়েলের গাজায় নতুন হামলার নির্দেশ, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙনের মুখে
odhikarpatra
২৮ October ২০২৫ ২৩:৩০
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ২:১০ GMT | আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় “শক্তিশালী হামলার” নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তিনি এই নির্দেশ দেন, যখন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলি সরকারের ডানপন্থী মন্ত্রীরা আবারও যুদ্ধ শুরুর দাবি জানান।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামাসের এই হামলা যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে, কারণ তা সংঘটিত হয়েছে সম্মত প্রত্যাহার রেখার পূর্বদিকে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। ইসরায়েলি সেনারা পাল্টা গুলি চালিয়ে হামাসের সঙ্গে যুক্ত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে আঘাত হানে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, হামাস যোদ্ধারা ট্যাংকবিধ্বংসী মিসাইল ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। পরে ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে।
নেতানিয়াহু বলেন, “হামাসের লঙ্ঘনের জন্য আর কেবল মূল্য আদায় নয়, এখন তাদের অস্তিত্বই নিশ্চিহ্ন করতে হবে— একবারে ও চিরতরে।”
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে “জোরালো প্রতিক্রিয়া” ও “হামাস ধ্বংসের” আহ্বান জানান।
যুদ্ধবিরতি ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর ছিল। এর আগে কয়েকবার ছোটখাটো সংঘর্ষ হলেও যুদ্ধবিরতি টিকে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা গাজায় যুদ্ধ পুনরায় শুরু হোক তা চায় না। এ জন্য গত এক সপ্তাহে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা ইসরায়েল সফর করেছেন।
এদিকে হামাস এখন পর্যন্ত ১৫ জিম্মার মরদেহ ইসরায়েলের কাছে ফেরত দিয়েছে, তবে এখনও ১৩ জনের দেহাবশেষ গাজায় রয়ে গেছে। সংগঠনটির দাবি, ইসরায়েলি বোমা হামলায় কিছু ইউনিটের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, যাদের কাছে এসব মরদেহ ছিল।
অন্যদিকে মঙ্গলবারই পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছে অভিযানে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা “সন্ত্রাসী সেল”-এর সদস্য ছিল।