11/25/2025 গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট ছাড়া এলডিসি–বন্দর ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই”—তারেক রহমানের কঠোর মন্তব্য
odhikarpatra
২৫ November ২০২৫ ১৮:০৩
বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট নেই। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের দীর্ঘমেয়াদি লিজ, পানগাঁও নৌ টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা, কিংবা ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের সময়সূচি—এসব ‘কৌশলগত ও ভবিষ্যৎ-নির্ধারক সিদ্ধান্ত’ এই সরকারের নেওয়া উচিত নয়।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইংরেজি ভাষায় দেওয়া দীর্ঘ পোস্টে তিনি বলেন,
“যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, সে সরকার ভবিষ্যতের জন্য কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না।”
তারেক রহমান অভিযোগ করেন,
—এসব সিদ্ধান্ত রুটিন কাজের অংশ নয়, বরং জাতীয় সম্পদ ও ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কৌশলগত প্রতিশ্রুতি।
তিনি বলেন, ‘‘এগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেঁধে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত। অথচ সরকারের কোনো গণতান্ত্রিক জবাবদিহি নেই।’’
তারেক রহমান নিজের পোস্টে একটি গার্মেন্টস মালিক ও এক শ্রমিক পরিবারের গল্প টেনে বলেন—
এলডিসি সুবিধা হঠাৎ তুলে নেওয়ার চাপ ব্যবসায়, শ্রমিক ও জনজীবনে নীরব সংকট তৈরি করেছে।
“এই সিদ্ধান্তে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তারা কোনোদিন ভোট দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি, এমনকি জিজ্ঞেসও করা হয়নি।” —তারেক
তিনি দাবি করেন—উত্তরণে ‘সময় বাড়ানো যাবে না’—সরকার যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও বাস্তবতাবর্জিত।
তিনি উদাহরণ দেন—অ্যাঙ্গোলা ও সামোয়া—যাদের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সময়সীমা বাড়িয়েছে।
তারেক রহমানের ভাষায়,
“যোগ্য হওয়া আর প্রস্তুত হওয়া এক জিনিস নয়।”
তার মতে, সরকার যখন আগেই বলে দেয় যে তাদের কোনো বিকল্প নেই, তখন আন্তর্জাতিক দরকষাকষিতে বাংলাদেশের শক্তি কমে যায়।
তিনি বলেন,
“চট্টগ্রাম বন্দরের সিদ্ধান্ত লাখো মানুষের জীবনে রাজনৈতিক বোলচালের চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলে।”
বন্দর ইজারাকে তিনি কৌশলগত জাতীয় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন—এসব সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের নেওয়া উচিত।
তারেক রহমান দাবি করেন,
এটি কোনো ব্যক্তিগত সমালোচনা নয়; বরং প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক বৈধতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার বিষয়।
তিনি বলেন,
“দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশের মানুষই। ২০২৬ সালের নির্বাচন সেই সুযোগ।”