12/04/2025 গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৭ ফিলিস্তিনি নিহত (২ শিশু): চলছে ‘গণহত্যা’, রাফাহ ক্রসিং খোলার ঘোষণা তেল আবিবের; যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ক্ষোভ
odhikarpatra
৪ December ২০২৫ ১৯:১০
পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট: অধিকারপত্র ডটকম
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা: যুদ্ধবিরতি কেবলই নামমাত্র? একদিনেই নিহত ৭ ফিলিস্তিনি, নিহতদের মধ্যে ২ শিশুও
গাজা/জেরুজালেম: যুদ্ধবিরতি বা আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণ এবং হতাহতের ঘটনা থামছে না। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনেই ইসরায়েলের হামলায় ৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দু’জন নিরীহ শিশু রয়েছে।
গাজা শহর থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ এই হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, যা ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরে। তার ভাষায়, “এই গণহত্যা (Genocide) কখনোই পুরোপুরি থামেনি।” এতে স্পষ্ট হয় যে, আন্তর্জাতিক চাপ এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরেও ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে, যা গাজার মানুষের জন্য এক চরম হতাশার জন্ম দিয়েছে।
রাফাহ ক্রসিং এবং জিম্মি পরিস্থিতি
এরই মধ্যে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, তারা রাফাহ ক্রসিং খুলে দেবে। তবে এটি শুধুমাত্র যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে মানুষ বের হওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন মানবিক দিক থেকে কিছুটা স্বস্তি দেবে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে, জিম্মি পরিস্থিতি নিয়েও রিপোর্ট এসেছে। গাজা থেকে ইসরায়েল তাদের দ্বিতীয়-শেষ জিম্মির দেহাবশেষ হাতে পেয়েছে। মৃত ব্যক্তিটিকে থাই নাগরিক সুদ্ধিসাক রিনথালাক (Sudthisak Rinthalak) হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ইসরায়েলি নাগরিক র্যান গভিলি (Ran Gvili)-ই এখন শেষ জিম্মি যার দেহাবশেষ এখনও ফেরত আসেনি।
লেবানন ও সামগ্রিক হতাহতের চিত্র
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতিতে, ইসরায়েল ও লেবানন তাদের decades-পুরাতন বিরোধ নিষ্পত্তি বা তদারকির জন্য সরাসরি কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। তারা তাদের ২০০৪ সালের যুদ্ধবিরতি তদারকি করা একটি সংস্থায় বেসামরিক দূত পাঠিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের এই ‘গণহত্যা’ (Genocidal War)-এ কমপক্ষে ৭০,১২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৭১,০১৫ জন আহত হয়েছেন। বিপরীতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়। চলমান হামলা এবং হতাহতের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে আরও বড় উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।
আল জাজিরা রিপোর্ট