12/16/2025 পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে নিজামী–গোলাম আযম প্রসঙ্গে উত্তেজনা, ছাত্রদলের বর্জন
odhikarpatra
১৫ December ২০২৫ ০০:০৪
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে আয়োজিত আলোচনা সভায় কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও গোলাম আযমকে স্বাধীনতাযুদ্ধের ‘সূর্যসন্তান’ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে উল্লেখ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান বর্জন করেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কলেজের শহীদ আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্ধারিত সময়ের কিছু পর অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রথমে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া হয়। পরে কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মামুন আল হাসান বক্তব্য দিতে ওঠেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করার পাশাপাশি মতিউর রহমান নিজামী, গোলাম আযমসহ জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতাকে স্বাধীনতাযুদ্ধের ‘সূর্যসন্তান’ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে উল্লেখ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ বক্তব্যের পরপরই মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা হইচই শুরু করেন এবং জামায়াত-শিবিরবিরোধী স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা বক্তব্য বর্জন করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কলেজের শিক্ষকরা হস্তক্ষেপ করেন এবং সংক্ষিপ্তভাবে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে ছাত্রশিবিরের কলেজ শাখার সেক্রেটারি মামুন আল হাসান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের একজন নেতা জামায়াত-শিবির ও তাদের প্রয়াত নেতাদের নিয়ে ‘মিথ্যাচার ও বিষোদ্গার’ করেছেন। তাঁর দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠান পণ্ড করতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রশিবির।
অন্যদিকে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, গোলাম আযম একজন চিহ্নিত রাজাকার এবং মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন আলবদরপ্রধান। তাদের দেশপ্রেমিক ও সূর্যসন্তান বলা ইতিহাস বিকৃতি। এই বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে তারা অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিজয়ের মাসে এ ধরনের বক্তব্য ও পাকিস্তানপন্থী স্লোগান বাঙালি জাতির জন্য লজ্জাজনক। ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি