12/24/2025 অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে বড় জয়: ফিলিস্তিনিদের মনে নতুন আশার আলো
odhikarpatra
২৪ December ২০২৫ ১৯:২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | অধিকার পত্র
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে একটি আইনি ও কৌশলগত বিজয় অর্জন করেছে স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর একটি বিতর্কিত বসতি প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই সাফল্যের খবর জানানো হয়েছে।

বিজয়ের প্রেক্ষাপট
পশ্চিম তীরের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা জমি দখলের চেষ্টা চালালে স্থানীয় ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা আইনি লড়াই শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ফলে ওই জমি থেকে ইসরায়েলিদের সরে যেতে বাধ্য করা হয়। একে গত কয়েক দশকের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি বিরল কিন্তু শক্তিশালী "বিজয়" হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কেন এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ?

জমি রক্ষা: বসতি স্থাপন স্থগিত হওয়ার ফলে কয়েকশ একর ফিলিস্তিনি কৃষি জমি ও আবাসিক এলাকা ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে গেছে।
* মনস্তাত্ত্বিক মনোবল: যুদ্ধের এই কঠিন সময়ে এই জয় ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে নতুন উদ্দীপনা জুগিয়েছে।
আন্তর্জাতিক চাপ: বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মহলের ক্রমবর্ধমান সমালোচনা এবং স্থানীয়দের অবিচল প্রতিরোধই এই ফলাফল এনে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় একজন অধিকারকর্মী বলেন, "আমরা জানি আমাদের লড়াই দীর্ঘ। কিন্তু এই ছোট জয় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকলে অধিকার ফিরে পাওয়া সম্ভব।" স্থানীয় কৃষকরা এখন আবার তাদের জমিতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ
যদিও এই জয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তবে পশ্চিম তীরের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো থমথমে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায়ই বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে এবং বসতি স্থাপনকারীদের হামলার আশঙ্কা এখনো কাটেনি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে যে, একটি প্রকল্প বন্ধ হলেও ইসরায়েলি সরকারের দীর্ঘমেয়াদী বসতি সম্প্রসারণ নীতি ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় হুমকি হয়ে রয়েছে।
পশ্চিম তীরের এই বিজয় প্রমাণ করে যে, আইনি লড়াই এবং জনমতের চাপ কার্যকর হতে পারে। গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে এই খবরটি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কিছুটা স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।
সূত্র: আল জাজিরা অনুবাদ ও সম্পাদনা: অধিকার পত্র ডেস্ক