12/30/2025 যাত্রাবাড়ীতে পুলিশি বাধায় ঢাকা-০৫ আসনে আওয়ামী লীগের মুন্না আটক: উত্তপ্ত অনলাইন বিতর্ক ও রাজনীতির উত্তেজনা”
odhikarpatra
২৯ December ২০২৫ ২৩:৪৪
বিশেষ প্রতিনিধি অধিকার পত্র ডটকম
ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ — রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা তে ঢাকা-০৫ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন রশীদ মুন্নাকে (মুন্না) পুলিশ একটি রাজনৈতিক মিছিল থামিয়ে আটক করার ঘটনা নিয়ে এই মুহূর্তেও অনলাইন রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সকাল সরকারের রোববার (২৯ ডিসেম্বর) যাত্রাবাড়ী থানার ১০০ ফিটের মধ্যে ঢাকা-০৫ এর নির্বাচনি প্রবেশ পথ ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা একটি মিছিল করার আয়োজন করেন। এই মিছিল পরিচালিত হচ্ছিলো হারুন রশীদ মুন্না ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে।
যদিও, পুলিশ থানা এলাকায় মিছিলকে **আইনশৃঙ্খলা স্বার্থে নিষিদ্ধ ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে পৌঁছার আগেই তাকে এবং মিছিলে অংশ নেওয়া কিছু নেতাকর্মীকে আটক করে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশি হস্তক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং অনলাইনে ঘটনা দ্রুত ভাইরাল হয়ে ওঠে।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, অনেকেই বলেছেন যে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নির্বাচন চলাকালীন রাজনৈতিক বিরোধীতার প্রভাবের অংশ।
তবে, এই ঘটনায় পুলিশ বা কোন সরকারি সূত্র থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুমোদিত মিছিল ও সমাবেশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন সামনে রেখে আচরণবিধি, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ প্রায়ই প্রচারিত অ-অনুমোদিত রাজনৈতিক সমাবেশ বা “ঝটিকা মিছিল” থামায়।
গত বছর ও চলতি বছরে ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের “ঝটিকা মিছিল” বা অন্যান্য অ-অনুমোদিত কর্মসূচির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্নবার নেতাকর্মী আটক ও মামলা দায়ের করা হয়েছে — যেমন গত অক্টোবর মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৩১ জনকে আটক করা হয়েছিল “ঝটিকা মিছিল” এর অভিযোগে।
এই ধরনের ঘটনা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি, নিরাপত্তাবাহিনী ও প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব, এবং রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও সংঘাতে পরিণত করেছে বলে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন।
অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া ও রাজনৈতিক গ্রুপে মুহূর্তের মধ্যে এই ঘটনার ভিডিও ও মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। কিছু পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, “নির্বাচন প্রচারণার অংশ হিসেবে মিছিল করার সময় পুলিশ মুন্নাকে কে বাধা দিয়েছে এবং আটক করেছে।” অন্য পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, “জায়গাটি অনুমোদিত নয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ছিল।”
কাজেই, ঘটনা নিয়ে ব্যাখ্যা ও প্রতিক্রিয়ার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিটি পোস্ট অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে, যা রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ঢাকা-০৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা ও প্রচারণা কার্যক্রম সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্র। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি সামান্য ঘটনা বড় রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে।
প্রশাসন দলগুলোর মিছিল/সমাবেশকে আইনত বাধ্যতামূলক অনুমতির বাইরে রাখছে, যা দলীয় কর্মীদের মনে “অধিকার হরণ” বা “রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন” হিসেবে দেখা হতে পারে। এটি সমাজের একাংশের মধ্যে পুলিশের মোকাবিলাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করার ঝোঁক তৈরি করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ ও পাতায় সমর্থকরা সমর্থন জানাচ্ছেন, আবার বিরোধীরা এটিকে “সরকারি দমননীতি” বলে বিশ্বাস প্রকাশ করছেন — যা রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এরকম একটি ঘটনা নির্বাচন সন্নিকটে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত হতে পারে, এবং বাস্তব বাস্তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করার জন্য আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা আরও তথ্য প্রয়োজন হবে।
এখন পর্যন্ত পুলিশ বা নির্বাচন কমিশন কোন অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করেনি। এর ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবী, ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ, স্বচ্ছ তদন্ত ও আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এর পাশাপাশি, রাজনৈতিক পক্ষগুলোরও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আচরণ ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে বিতর্ককে সমাধান করার আহ্বান করা হচ্ছে।