কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে সরকারের পরাজয় হয়েছে । তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক হওয়ায় ও তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কারণে সরকার তাদের দাবি মানতে বাধ্য হয়েছে। এটা সরকারের পরাজয়, শিক্ষার্থীদের জয়।
সরকার কখনই কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিতে চায়নি দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই তিন দিনের আন্দোলনে আমরা দেখেছি, পুলিশ ও ছাত্রলীগ কীভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে, গ্রেফতার করেছে। এতে বোঝা যায় সরকার তাদের দাবি মানতে চায়নি।’
মোশাররফের ভাষ্য- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘যদি কোটা প্রথা সংস্কার করা হয় তাহলে রাজাকারের বাচ্চারা চাকরি পাবে।’ সবকিছুর পরও যখন তাদের ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়নি তখন তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দিলেন যে, কোটাই আর রাখা হবে না।’
তারেক রহমান যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে তাদের সহযোগিতা করার কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে অন্যায়ের কী আছে? এ আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি কারণ এটা যৌক্তিক আন্দোলন ছিল। সরকার বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। সরকার জনগণের আন্দোলন ও কথা বলাকে ভয় পায়। আর এই ভয়ের কারণেই একটি মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে এবং তার কারাবাস দীর্ঘ করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।’
জনগণ বিএনপির সঙ্গে রাস্তায় নামার অপেক্ষায় রয়েছে এমন দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আন্দোলন যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সেই আন্দোলনকে শত চেষ্টা করেও ধামাচাপা দেওয়া যায়না। যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছেন সেভাবেও বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে জনগণও রাস্তায় নামার অপেক্ষায় আছে। বিএনপির আন্দোলন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। এই আন্দোলনে জনগণের স্বার্থ আছে। তাই তারাও বিএনপির সঙ্গে মাঠে নামার জন্য অপেক্ষা করছে।’
আলোচনা সভায় নাগরিক কণ্ঠের আহ্বায়ক সাংবাদিক রমিজ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন,আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিনুর রশিদ ইয়াছিনসহ অনেকে।