বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রপন্থা’ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও দমনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুরু হওয়া সদস্য দেশসমূহের ‘কাউন্টার টেরোরেজম’ বিভাগের প্রধানদের দু’দিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনে (২৮ জুন) দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য তিনি এ সম্মেলনে তিন সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা ও তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সমর্থ হয়েছে। তিনি এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসের শেকড় উৎপাটন করা এবং যে সকল কারণে সন্ত্রাস সৃষ্টি হচ্ছে তা নির্মূল করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার যে সকল অনুঘটক রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমরা ‘সমাজের সকলকে নিয়ে কাজ করার দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের কমিউনিটি পুলিশিং পদক্ষেপটি খুব কাজে লাগছে। সহিংস চরমপন্থা দমনে বাংলাদেশের নারী ও যুব উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোও দারুনভাবে প্রভাব ফেলছে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের কোন সন্ত্রাসী গ্রুপকে বাংলাদেশের মাটিতে স্থান না দেয়ার বিষয়ে তিনি সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত জোরপূর্বক বাস্ত্যুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যাতে কোন সন্ত্রাসী উপাদানের সৃষ্টি হতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম সংস্থাসমূহের গভীর দৃষ্টি রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের ভূখণ্ডে বিদেশি কোনো সন্ত্রাসীর সন্দেহজনক গতিবিধির বিষয়ে আমরা সদা তৎপর। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।
সন্ত্রাসী এবং বহুজাতিক সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মধ্যকার অব্যাহত সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ত্রাস অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের সংস্থাসমূহ সবসময়ই তাদের দক্ষতা আরও বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।