বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অভিনব। ছাত্রদের অভিনব আন্দোলনে সরকার নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর শাজাহান খান যা বলেছেন, এটা কোনও রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না।’

মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সড়ক মন্ত্রী কি দায় অস্বীকার করতে পারেন? কেন কোনও ম্যানেজমেন্ট নেই? ট্রাফিকের সিস্টেম নেই? এসবের জন্য সরকারকে দায়ী করছি এবং অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সব জায়গায় অরাজকতা চলছে। সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতারক সরকার সব প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন একেবারেই শেষ। তারা যেভাবে পারে বিরোধী মতকে দমন করছে। এ বিষয়গুলো জনগণের জানা আছে।’
জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সঙ্গে জড়িত—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী আবারও জিয়াউর রহমানের ওপর আক্রমণ করেছেন। অথচ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ নেই। কোথাও কেউ বলেননি তিনি (জিয়া) জড়িত। কোনও সাক্ষী তাকে (জিয়া) দায়ী করেননি, প্রমাণও নেই। তারপরও জিয়াউর রহমানকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত বর্তমান পরিস্থিতির মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি এমন বক্তব্য রাখেন।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘তাহলে আমরাও তো দায়ী করতে পারি যে আপনি (শেখ হাসিনা) বিদেশ থেকে ফিরে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান নিহত হন। কিন্তু এ ধরনের কথা আমরা সমীচীন মনে করি না। এগুলো করলে অনেক সময় কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রমুখ।