ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদে দেশব্যাপী সিরিজ হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  বলেন,

বিএনপি ও তার সাম্প্রদায়িক দোসরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপিকে কারা কারা তলে তলে বাতাস দিচ্ছেন তা আমরা জানি।বাতাস দেয়া বন্ধ করুন। কারণ বিএনপির আন্দোলন মাঠে নেই, রয়েছে মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের যে কোন ষড়যন্ত্র জনগন রুখে দেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মানুষের শক্তি যখন কমে মনের জোরও তখন কমে যায়। আর তখন মুখের জোর বেড়ে যায়। বিএনপিরও সেটাই হয়েছে। আর তাই তারা সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় কথা বলছেন। তিনি বলেন, বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের পরিবেশ তৈরির সকল ষড়যন্ত্র করছে। তবে দেশে আর সে পরিস্থিতি তৈরি হবে না। জনগন বিএনপির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশকে স্বাধীন করার আহবান জানিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। তিনি বলেন, ‘তাকে (ফখরুল) এ ধরনের বক্তব্যের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে বিচার করলে কি ভুল হবে ? তবে আমরা তা করতে চাই না। জনগনের কাছে তাদের মুখোশ উম্মোচিত হোক।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নামক সাম্প্রদায়িক দানব পার্টি যতদিন থাকবে ততদিন তারা দেশে অশান্তির আগুন জ্বালাবে। এ দানবীয় শক্তির হাত থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগনকে রক্ষা করতে হবে।

বিএনপি ও তার সাম্প্রদায়িক দোসরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপিকে কারা কারা তলে তলে বাতাস দিচ্ছেন তা আমরা জানি।বাতাস দেয়া বন্ধ করুন। কারণ বিএনপির আন্দোলন মাঠে নেই, রয়েছে মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের যে কোন ষড়যন্ত্র জনগন রুখে দেবে।

কাদের বলেন, ঢাকা কখনো অচল হবে না। বাংলাদেশকেও অচল করা যাবে না। বিএনপি অচল হয়ে যাবে। কারণ বিএনপি তাদের রাজনীতিতে নেতিবাচক সকল উপাদান যুক্ত করে ফেলেছে।
১৭ আগস্টের দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০০৫ সালের এ দিনে দেশের ৬৩ জেলার পাঁচ’শ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে বিএনপি জামায়াতের সহায়তায় জঙ্গীগোষ্ঠী তাদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল। তিনি বলেন, এ হামলার টার্গেট ছিল দেশের বিচারালয় ও সরকারী স্থাপনা। এ হামলায় দু’জন নিহত ও প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছিল।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, উত্তরের সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, আব্দুল হক সবুজ ও উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমূখ।