আজ দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’র (পিআইবি) সেমিনার হলে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম সেন্টার, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ফেসবুকে গুজব এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ,তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন,
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের জানালা খোলা থাকবে। কিন্তু মিথ্যাচার ও গুজব রটনাকারীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।’
সামাজিক গণমাধ্যম কখনই গুজব রটনা বা মিথ্যাচারের হাতিয়ার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমকে রক্ষার জন্যই যারা এর অপব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে শূন্য ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন আবশ্যক।’
মন্ত্রী একথা বলেন।
পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা, আশিষ কুমার, রাশেদ আহমেদ, দীপ আজাদ প্রমূখ আলোচনায় অংশ নেন।
‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি গুজব রটনা ও মিথ্যাচারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাজনীতির এই জঘন্য হাতিয়ার দিয়ে একাত্তরের গণহত্যাকে জায়েজ করার চেষ্টা, গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়া, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকে বৈধ বা হালাল করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন,‘এমনকি একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরও শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলে গুজব রটানো হয়। আর জঙ্গি হামলা ও আগুনসন্ত্রাসকেও মিথ্যাচারের মাধ্যমে হালাল করার চক্রান্ত আমরা দেখতে পাই।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের শত্রুরা এখনও একই কৌশল অবলম্বন করছে। তারা এখন আশ্রয় নিচ্ছে সামাজিক গণমাধ্যমের। একটি মহল বা কতিপয় ব্যক্তি, যারা নীতিগতভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ও একাত্তরের খুনীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, এরা হচ্ছে একটা সিন্ডিকেটেড বা সংগঠিত চক্র। এদের দমন করার বিকল্প নেই।’
‘এখনও বঙ্গবন্ধুর আসল খুনীদের আড়াল করার জন্য এবং আওয়ামী লীগ ও জাসদের ঐক্য ভাঙ্গার জন্য সামাজিক গণমাধ্যমে মিথ্যাচার ও গুজব রটনা চলছে’ উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জঙ্গি-সন্ত্রাসী, মাদককারবারী ও সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করার ফলে এরা ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে, পিছু হটেছে।
ইনু বলেন, এখন মিথ্যাচার ও চক্রান্তই এদের একমাত্র অবলম্বন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ঐক্য বিনষ্ট করাই এদের মূল লক্ষ্য। এই অপচক্রের কাছে দেশ ও জনগণকে কোনোভাবেই জিম্মি হতে দেয়া যায় না।’
‘একই সাথে সামাজিক গণমাধ্যমের খোলা জানালাটা খোলা রাখতে হলে এই মিথ্যাচার ও গুজবের উৎপাত কঠোরভাবেই দমন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ আমরা সামাজিক গণমাধ্যমের জানালাটা খোলা রাখার পক্ষে। কিন্তু এই খোলা জানালার হাওয়া ভোগ করতে হলে উৎপাতকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করতে হবে, এদের ধ্বংসই করে দিতে হবে।’