04/20/2025 বর্ণচোরা রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : ড. হাছান মাহমুদ
Mahbubur Rohman Polash
৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:০৮
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বর্ণচোরা রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ আজ সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উন্নয়নের মহাকবি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা- সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারা সভাপতি বি. চৌধুরীরা পচনশীল রাজনীতিতে সর্বাগ্রে রয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীর মত রাজনীতিবিদরা আগে প্রগতির পক্ষে কথা বলতেন। কিন্তু এখন তারা পচনশীল রাজনীতির অগ্রভাগে আছেন। তিনি পুলিশের মামলা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু বিএনপি সরকার আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শূণ্য করতে চেয়েছিল, তা নিয়ে কথা বলেন না।
তিনি বলেন, যে বিএনপি জামায়াত রাজনীতির নামে দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা করেছে, এখন তারা তাদের পক্ষে কথা বলেন। ড. কামাল ও বি. চৌধুরী এখন বিএনপির ত্রাণ কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তাই এদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে হয়েছে। এ হামলার বিষয়ে তিনি সবকিছু জানতেন। তা না হলে তিনি কেন গ্রেনেড হামলার পর মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিলেন। এতেই প্রমাণিত হয়, তিনি সব কিছু জানতেন।
তিনি আরো বলেন, এই হামলার একজন ভুক্তভোগী হিসেবে, একজন আহত ব্যক্তি, ও মামলার স্বাক্ষী হিসেবে এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী ডিসেম্বরে সংবিধান অনুয়ায়ী যথাসময়ে নির্বাচন। এই নির্বাচনে যারা দেশকে শিকার করে না, তাদের মানুষ রায় দেবে না।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যারা অবদান রাখবে তাদেরকেই মানুষ ভোট দেবে। আর ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীরা বর্ন চোরা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। তা না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে সরকার প্রধান ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তার অধীনে ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়েও তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ তিনিও এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্র নায়িকা নতুনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।-খবর বাসসের