04/23/2025 সিরাজদিখানে খাস জমিতে ইট ভাটা স্থাপন
Mahbubur Rohman Polash
৪ নভেম্বর ২০১৮ ২১:২৭
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর দুই পাড়ে সরকারী তালিকাভুক্ত ৪২টি থাকলেও বাস্তবে ৫০টি ইট ভাটা রয়েছে। সিরাজদিখান, কেরানীগঞ্জ ও ফতুল্লা উপজেলার অন্তভুক্ত মোহনাস্থল সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকা।
এই তিন উপজেলায় প্রায় দুই’শ থেকে আড়াই’শ ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে বেশীরভাগ ইট ভাটারই পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্র নেই। এমনকি বৈধ কোন কাগজপত্রও নেই!
সরকারী খাস জমি দখল করে ইট ভাটা নির্মাণে কৃষি জমি ও কৃষিকার্যে ব্যঘাত ঘটছে তেমনি ইট ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে গাছপালা ফলমূল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মানুষ সর্দি কাশি শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ইট ভাটায় ব্যবহৃত কয়লা থেকে ভীষন ক্ষতিকর কার্বন মনোক্রাইড নির্গত হয়। যা মানুষের শারীরে মারাতœক ক্ষতির কারণ।
ইটভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম, পরিবেশ আইন বা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন কোনো কাজে আসছে না বললেই চলে। এমনকি এসটিআই এর ছাড়পত্রও নেই ।
সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের অবৈধ ইটভাটার ব্যবসা। তিন উপজেলার মোহনা থেকে কুচিয়ামোড়া পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীর সীমানা নির্ধারণকারী পিলার থেকে আরও ভেতরে ইট-সুরকি ও বালু দিয়ে নদী ভরাট করে ইটভাটা বানিয়েছেন তারা। মালিকরা প্রভাবশালি হওয়ায় খাস জমির মাটি কেটে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। দখল করছে সরকারি খাস জমি। তাই তারা বৈধ আর অবৈধ সমান মনে করেন।
মুন্সীগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিষ্ট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সিরাজদিখানে ৪২টি ইটখোলার মধ্যে ২৮ টি ইটখোলা হাইকোর্টে রিট করা, তাই এদের নিয়ন্ত্রন আমাদের নিকট নেই । ইটখোলা চালু করলে বাকীদের বিরুদ্ধে ব্যবন্থা নিব । আমরা সময়মত মোবাইল কোর্টের সাপোর্ট পাই না তাই অনেক ক্ষেত্রে কিছুই করার থাকে না । অনেকে উপরের অফিসের সাথে মিলতাল করে ইটখোলা চালু রাখেন।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর মোহাম্মদ আজিম বলেন, ইটখোলার কালো ধোয়াসহ অন্যান্য বিষয় মনিটরিং করে থাকেন পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে আমরা মোবাইল কোর্টের জন্য প্রস্তুত আছি ।
তারা আমাদের যখন প্রয়োজন মনে করবে তখনই আমরা মোবাইল কোর্ট করব । ৪২টি ইটখোলার মধ্যে কিছু ইটখোলা খাস জমি দখল করে রেখেছে । তারই প্রেক্ষিতে গত বছর ২টি ইটখোলাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছিলাম কিন্তু এ বছর আবারও তারা দখল করে রেখেছে । ইচ্ছে করলেই হুট করে ব্যবস্থা নেয়া যায় না ।
জমির তফসিল দেখে ১ সপ্তাহ আগে তাদের নোটিশ করতে হয় তারপর নথি সৃজন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়ে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শেষ করতে হয় । তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ১টি ইট খোলাকে নোটিশ করেছি এবং ৪/৫ টি ইট খোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।