04/21/2025 মানু মজুমদার সংসদ সদস্য হলে কলমাকান্দা দুর্গাপুরে শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
Mahbubur Rohman Polash
১৮ নভেম্বর ২০১৮ ১২:১৪
প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ও নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মানু মজুমদার এবার নৌকার মাঝি হতে নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা- দুর্গাপুর) থেকে মনোনায়ন ফরম জমা দিয়েছে। দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে কাজ করে আসছেন।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। মানু মজুমদার বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এলাকার মানুষের জন্য ও দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ছোট বেলায় থেকেই রাজনীতির মিছিল মিটিং এ যাওয়াই ছিল এক ধরনের নেশা। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে রাজনীতির শুরু। ময়মনসিংহ থেকে ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে এসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে তার আদর্শে দীক্ষিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে গেরিলা কায়দায় যুদ্ধ করেন। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদ করায় তৎকালীন জিয়ার সামরিক সরকারের হাতে গ্রেফতার হন। বিচারিক আদালত রাস্টদ্রোহীতার মামলায় ফাঁসির আদেশ দেন। তারপর যাবত জীবন দণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ১৯৮৩, প্রায় ৯ বছর কারাভোগের পর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় জেল থেকে মুক্তি পায়। এরপর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসাবে তার সাথে আছেন।
হঠাৎ রাজনীতি বা নির্বাচনে এলেন কেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে ‘না, হঠাৎ করে নয়, রাজনীতি বা নির্বাচনে আমি নতুন নয়। জেল থেকে মুক্তির পর আমি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ছিলাম আর বর্তমানে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। আর নির্বাচনের কথা বললে ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নেত্রীর সাথে থেকে প্রতিটা নির্বাচনেই ছিলাম। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে নেত্রকোনা -১ আসনের প্রতিটি গ্রাম মহল্লায় ঘুরে নির্বাচন করেছি। আমি শতভাগ আশাবাদী নেত্রী আমাকে মনোনায়ন দিবে এবং আমি নেত্রীকে এই আসন উপহার দেব।
কিন্তু কেন সংসদ সদস্য হওয়ার আকাঙ্ক্ষা? ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে কলমাকান্দা-দুর্গাপুরে নির্বাচন করতে গিয়ে সাধারন জনগণকে দেখে, আগেই বলেছি দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করার জন্য।
‘তাহলে সংসদ সদস্য হলে মানুষের সেবা করার অনেক সুযোগ রয়েছে?’ এই প্রশ্নে মানু মজুমদার বলেন, ‘হ্যাঁ, অনেক সুযোগ রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে নেমেছি। আমার প্রথম এজেন্ডা হলো নেত্রকোনা থেকে কলমাকান্দা সড়ক উন্নয়ন। দুর্গাপুর কলমাকান্দা কে স্বল্প সময়ের মধ্যে পর্যটন এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা ও অব্যাহত রেখে এলাকার রাস্তা ঘাট উন্নয়ন করা। কলমাকান্দা দুর্গাপুরকে মাদকমুক্ত করা। তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদ যদি সত্যিকার অর্থে সমাজসেবা করার জন্য রাজনীতি করে, তাহলে সে সব সেক্টরেই সাহায্য-সহযোগিতা এবং সেবা দিতে পারে।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলায় ২ আসামী হিসাবে নাম ছিল মানু মজুমদার। ১/১১ পরবর্তী ২ বছর নির্বাসিত জীবন যাবন করেন। বর্তমানে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ১৯৭৫ সালে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায়, সহযোগিতা করে আসছেন।
প্রার্থী হলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন কেমন পাবেন—এমন প্রশ্নে মানু মজুমদার বলেন, এখনই তাঁর সঙ্গে এলাকার ৬০-৭০ শতাংশ নেতাকর্মী আছে। মনোনয়ন পেলে বাকিরাও চলে আসবে। সংসদ সদস্য হলে কলমাকান্দা দুর্গাপুরে শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তিনি এও বলেন, ‘আমার নেত্রী আমাকে বা যাঁকেই মনোনয়ন দিন না কেন, আমি জান-প্রাণ দিয়ে নৌকার জন্য চেষ্টা করব।