05/14/2025 শব্দ সন্ত্রাস, সুস্থতার অধিকারে করছে বিঘ্নতার সৃষ্টি
Mahbubur Rohman Polash
২০ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫১
জাহাঙ্গীর আলম: ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। দেশের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কল-কারখানা। উৎপাদনমুখি এসব কল-কারখানাগুলোয় কাজ করে জীবিকা নির্বাহের জন্য সারা দেশ থেকেই ছুটে আসছে মানুষ।
এছাড়াও ব্যাংক, বীমা, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় এই রাজধানীতেই অবস্থিত হওয়ায় এখানে যেমন লোকে লোকারণ্য তেমনি পরিবহনের জন্য যানবাহনে ভরপুর। এসব যানবাহন ও কল-কারখারখানার ধোঁয়া নিয়মিতই দূষিত করছে প্রাকৃতিক পরিবেশকে।
আর বাস,ট্রাক, সিএনজিসহ বিভিন্ন মটর যানগুলোয় ব্যবহৃত হর্ণ যেন শব্দ দূষনে সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ শব্দ সন্ত্রাস।
এসব হর্ণের শব্দ মানুষের সুস্থ মানষিকতায় ব্যাঘাত ঘটিয়েই চলছে নিয়মিত। ঢাকায় বসবাসরত মানুষের মানুষিক অসুস্থতার জন্য এই শব্দ দূষণ অধিকাংশে দায়ি।
স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোড সংলগ্ন হওয়ায় সুস্থ পরিবেশে বিঘ্নতার সৃষ্টি করছে এই সব অনাকাংখিত শব্দ দূষণ। আইনের অমান্য করে যানবাহনগুলোতে ব্যাবহার করা হচ্ছে অতি উচ্চমাত্রার হর্ণ, চোখের জন্য ক্ষতিকর লাইট।
এছাড়া মাত্রা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েও চলাচল করছে এই যানবাহনগুলো। রাজধানীর বিভিন্ন রাস্থায় অবস্থানরত ট্রাফিকদের চোখে বিষয়গুলি পরিলক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও সে দিকে কোন ভ্রক্ষেপ নেই তাদের।
শুধু তাই নয় এসব অন্যায় গুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন হারে চাঁদা তুলছে অনেক ট্রাফিকরাই। পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জানা যায়, এসব ট্রাফিক আইনের লঙ্ঘন করেও আইনি শাস্থি থেকে বাঁচতে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক বিভিন্ন হারে চাঁদা দিয়ে থাকেন তারা।
রাজধানীর এসব নানাবিধ অপরাধ ও অপকর্মগুলো রুখতে প্রশাসনের দৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও নীরব ভুমিকায় রয়েছে প্রশাসন। হেলমেটবিঞীন মোটর সাইকেল আরোহীদের বিভিন্ন সময় আটক করলেও তাদের অধিকাংশদের কাছ থেকেই টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
এতে যেমন হচ্ছে মানবতার অবক্ষয়, আইনের অবক্ষয়, সুস্থতায় বিঘ্নতা অপরদিকে খুলে দেওয়া হচ্ছে দূর্ঘনার পথকে। যাত্রী ও পথচারীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সুস্থ পরিবেশে সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রশাসনকে করতে হবে কঠোর ভাবে আইনের প্রয়োগ। প্রশাসনের প্রত্যেকটা ব্যক্তিকেই হতে হবে ন্যায় নিষ্ঠাবান।