নির্বাচন যেন কোনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। তবে নির্বাচন কমিশন তা নজরদারি করবে। ইতোমধ্যেই অভিযোগ আসা শুরু করেছে। তবে নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভালোভাবে যাচাই না করে কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন যেন কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা-বিষয়ক বিশেষ সভার শুরুতে সিইসি এসব কথা বলেন। সভায় তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন।
সিইসি বলেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর মাঠ পর্যায়ে ছোট পরিসরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।
পুলিশকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ না করতে নিষেধ করে তিনি বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি। এটা আপনারা করবেন না। কারণ, এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, তারা বিব্রত হন। আমরা এটা চাই না। যদি তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয়, তবে গোপন সূত্র ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারেন।
তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেন, এখন কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার বা কারো বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। আশা করি, আপনারা এটা করছেনও না।