04/19/2025 বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করতে পারে 'ইসলাম'
Mahbubur Rohman Polash
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:২৯
অশান্তির ঝড় বইছে গোটা বিশ্বে। আর মুসলিম বিশ্বে এ ঝড়ের গতিবেগ বেশি। শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারিরা কেন এ ঝড়ের শিকার পরিণত হয়েছে ভেবে দেখার সময় এখন। এ ঝড়ে অবিশ্বাস্য লন্ডভন্ড চলছে।
শান্তির ছোঁয়া নেই কারো মাঝে। চরম অশান্তিতে কাটছে অধিকাংশের জীবন। অথচ ইসলাম পন্থীদের এমন অবস্থা হওয়ার কথা নয়। এক সময়ের অশান্ত পৃথিবীতে শান্তির বারতা নিয়ে যে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে, যে ইসলাম অন্ধকার যুগে আলোর বর্তিকা রুপে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে, সে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে বর্তমান মুসলমানদের অনৈতিক আচরণ।
এখনকার মুসলমানদের মাঝে আগের সে ঈমানীজোরের খুবই অভাব। তাদের আচার-আচরণে ইসলামের বিধি বিধানের প্রতিফলন নেই। ইসলামের নিষিদ্ধ পথে পা এখন অনেক মুসলমানের। ঘুষ, সুদ, তাদের কাছে হারাম নয়-হালাল। মদ-মাদক সেবনে নেই কোনো পাপবোধ। মিথ্যাচারে ও প্রতারণায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, পাপের পথে চলতে তাদের বিবেক বাধ সাধছে না অন্যায়-অনিয়মের পথে অঢেল রোজগার করে বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে চলতে কােনরুপ দ্বিধা বোধ করছে না।
আত্ম কলহে খুন-খারাবির ঘটনা নিত্য ঘটছে। মুসলমান হয়ে মুসলমানকে গুলি করতে, ছুরি বুকে বসাতে এবং জবাই করতে হাত কাঁপপে না। ধর্মের বাণী তাদের এমন অপকর্ম রুখতে পারছে না। এসব থেকে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে , এখানকার মুসলমানদের মাঝে আগের মত ধর্ম বিশ্বাস নেই। লেবাসে মুসলমান হলেও ভেতরে তারা অমুসলিম । তাই দুর্ভোগ তাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। গোটা মুসলিম বিশ্বে যে ভয়াবহ অবস্থা চলছে, তা যে তাদের কুকাজের পরিণতি তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং মিশরে যে অশান্তির ঝড় বইছে তার জন্য দায়ী সেখানকার ভেকধারী মুসলমান। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, এক মাস রোজা রেখে যে মুসলমানিত্ব দাবি করা তয়, তা কতোটা সঠিক একবার ভেবে দেখা দরকার।
সুন্নতি লেবাসে অসুন্নতি কারবার করে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদকে (দঃ) পর্যন্ত বিতর্কিত করে তুলেছেন। তাদের কারণেই আজ ইসলামকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ইসলাম মানুষকে পাপমুক্ত রাখে। এ সত্যটাই প্রতিষ্ঠিত ছিলো এক সময়। সে সময়কার মুসলমানরা মনেপ্রানে বিশ্বাস করতো এবং এ বিশ্বাসের জোর নিয়েই পাপমুক্ত বিশ্ব গড়ার অভিযানে সাফল্যের পর সাফল্য অর্জন করেছে। আর এখন সে বিশ্বাস থেকে সরে এসে ঘাটে ঘাটে ব্যর্থতা বরণ করতে হচ্ছে। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিধর্মীদের পদলেহন করতে হচ্ছে ।এ হেনস্তাকর অবস্থঅর কারণ কারো মাঝেই ইসলামী তেজ নেই, নেই ইসলামের প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস ।
মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের অবস্থা আরো নাজুক । বলতে গেলে মিথ্যার জয়জয়কার এখানে। লোভ-লালসা যেন সবার নীতি- নৈতিকতার বিলোপ ঘটিয়েছে। ঠকবাজি, ধোকাবাজিতে অভ্যস্ত প্রায জনই। শোষণ পীড়ণ চলছে অবাধে । এসবের প্রতিরোধে লোক দেখানো আইন আছে। মায়ের জাত নারীকে পণ্য করে মোটা অঙ্কেও মুনাফা লুটার তৎপরতা চলছে-চলছে মদ ও মাদকের রমারমা ব্যবসা। এসব অবৈধ ব্যবসা রুখতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে যথেষ্ট অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এমন অনীহার কারণ প্রাপ্তিযোগ। আসলে লোভে-লালসাই মুসলমানদের অধর্মের পথে ঠেলে দিচ্ছে। লোভ মানুষকে চরিত্রদুষ্ট করে-এটা জানা কথা। জ্ঞানীজনের কথা, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। মৃত্যু অর্থে অস্তিত্বের বিনাশ। এদেশের তথা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমান লোভ দুষ্ট হয়ে সে বিনাশকেই তরান্বিত করছে কাজেই সময়ে সতর্ক হতে হবে। ইসলাম এ কারণেই সংযমী হতে বলেছে। মানুষের ষড়রীপু দমন ইসলামে অপরিহার্য । নামাজের মাধ্যমে ষড়রীপু দমন করা সম্ভব হলে কারো জীবনে অশান্তির বাড়াবাড়ি থাকতে পারে না।
আল্লাহ সর্বশক্তিমান। আঠারো হাজার মখলুকাতের স্রষ্টা। আর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ইনসান। এই ইনসানের শ্রেষ্ঠত্ব রজায় রাখতেই ইসলামের আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে। সে ইসলামকে আকড়ে থেকে ইসলাম নিষিদ্ধ কাজ করে শান্তির আশা করা যায় না। বরং ইহকাল পরকাল দু কালই কাটাতে হবে চরম অশান্তিতে। তাই সময়ের সর্তক হতে হবে।
জীবনে সুখ- শান্তির ছোঁয়া লাগাতে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে।