05/06/2025 সর্বোচ্চ পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন বরফভেদী জাহাজ বানাল রাশিয়া
Mahbubur Rohman Polash
১৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১৭:১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বে এই প্রথম পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বরফভেদী জাহাজ সাগরে ভাসাল রাশিয়া। মেরুপ্রদেশে সামরিক দখল নেওয়া এর একটা অন্যতম লক্ষ্য, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৬ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের বাল্টিক শিপইয়ার্ড থেকে এটি পরীক্ষামূলক ভাবে রওনা দেয় উত্তর দিকে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর ফলে মেরুপ্রদেশে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে রাশিয়া।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে এটি তৈরি করা শুরু হয়েছিল। জাহাজটি ৫৮৬ ফুট লম্বা, ১০০ ফুট প্রশস্ত, প্রায় ১০ ফুট পুরু, ১৩ ফুট গভীর বরফ ভেদ করতে সক্ষম। ২০১৭ সালের ১৭ অগস্ট উত্তর মেরুতে পৌঁছে রেকর্ডও গড়ে এই জাহাজটি। জাতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এটি অন্যতম অস্ত্রও বলা যায়।
আর্কটিকা নামের এই জাহাজে দুটি পানি পরিশোধনকারী ব্যবস্থা রয়েছে। ৭০ টন পানি পরিশুদ্ধ করতে সক্ষম এটি। এবং একবারে ৩৩,৫৪০ লিটার পানি সরাতেও সক্ষম। এর প্লবতা ‘ভ্যারিয়েবল’, বাল্টিকের ওই কারখানায় ১০ হাজার টন ধাতব কাঠামো রয়েছে, যা এই সিরিজের পরবর্তী জাহাজ তৈরিতে কাজে লাগানো হবে।
আর্কটিকার ক্ষেত্রে দুটি আরআইটিএম ক্ষমতাসম্পন্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিয়্যাক্টর রয়েছে, এটি মস্কোর কাছে পডোলস্কে নিয়ে যাওয়া হয় ২০১৬ সালের জুন মাসে। বসানো হয়েছে দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষমতাসম্পন্ন যমজ রিয়্যাক্টর বা পরমাণু চুল্লিও। মেরুপ্রদেশে এর ফলে রুশ আধিপত্য আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন, আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই জাহাজটি নির্মাণে। ৪০ বছর আয়ু এই আর্কটিকার, ২০ শতাংশের কম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ জ্বালানি প্রতি সাত বছর অন্তত ভরতে হবে এতে। রুশ সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, এই সিরিজের দুটি বরফভেদী জাহাজ সাইবেরিয়া ও উরালে যথাক্রমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আনা হবে। মোট ৪০টি বরফভেদী জাহাজ রয়েছে রাশিয়ার।
পরমাণুশক্তি চালিত বরফভেদী রুশ জাহাজের পাল্টা জাহাজ আনতে চলেছে আমেরিকাও। ২০২০ সালে নতুন একটি পরমানবিক ক্ষমতা সম্পন্ন বরফভেদী জাহাজ আনার কথা আমেরিকার। এ ছাড়াও ২০১৮ সালের শেষের দিকে চিনও এমন একটি জাহাজ আনার কথা ঘোষণা করেছে। সূত্র: আরটি।