05/26/2025 পদ্মা সেতুর ১০ম স্প্যানটি বসছে আজ
Akbar
১০ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৫০
মুন্সীগঞ্জ:মাওয়ায় ১০ম স্প্যান বসছে আজ বুধবার। সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৩ ও ১৪ নং খুঁটির ওপর বসতে যাচ্ছে ৩নং মডিউলের ‘৩-এ’ নম্বর স্প্যানটি। ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি(সুপার স্ট্রাকচার) নিয়ে রওনা হয়েছে। সকাল ৮টা ২০মিনিটের দিকে এটি রওনা হয়ে ৯টার দিকে ১৩ ও ১৪ নং খুঁটির সামনে চলে আসে। স্প্যানবাহী জাহাজটি যথাযথ স্থানে নোঙ্গর করা হচ্ছে। এরপরই স্প্যানটি খুঁটিতে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে দেড় কিলোমিটার। মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬শ’ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই ভাসমান’ ক্রেনটি বহন করে নিয়ে যায়। ধুসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসবে। দুপুরের মধ্যেই বসানো সম্ভব হবে বলে দায়িত্বশীল প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে মাওয়া প্রান্তে বসতে যাচ্ছে স্প্যানটি। যদিও পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল মাওয়া প্রান্তে। কিন্তু নদীর তলদেশের মাটি নরম থাকায় এ পারের কাজ দেরিতে শুরু হয়। তাই জাজিরায় কাজ শুরু হয়। একে একে জাজিরায় ৮টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এবার স্প্যান বসতে যাচ্ছে মাওয়ায়। তাই পদ্মার এ পারের মানুষ বেজায় খুশি। এর আগে অস্থায়ীভাবে মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতে একটি স্প্যান বসানো হয়। ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটিতে এটি বসানোর কথা ছিলো। কিন্তু ৬ ও ৭ নং খুঁটি প্রস্তুত না থাকায় অস্থায়ীভাবে এটি ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয়েছে। পরবর্তীতে ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটি প্রস্তুত হবার পর এটি সরিয়ে নেয়া হবে। একই সাথে প্রথম পর্যায়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়া ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির পাইল অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে কাল বৃহস্পতিবার। ৭ নম্বর খুঁটিতে ৭টি পাইলই স্থাপন হয়ে গেছে। এর মধ্যে চারটি ট্যাম (খাঁজকাটা) পাইল। আর ৬ নম্বর খুঁটির ৬ ছয়টি পাইলই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি একটি পাইলও সম্পন্ন হওয়ার পথে। বাকি অংশটুকু কাল বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে।
এদিকে ১১ তম স্প্যান বসতে যাচ্ছে ২০ এপ্রিল জাজিরায় ৩৪ ও ৩৩ নম্বর খুঁটিতে। ‘৬সি’ নম্বর স্প্যানটি বসানোর পরিকল্পনাও এখন চূড়ান্ত। ৩৪ নম্বর খুঁটিতে লেফটিং ফ্রেম (স্প্যান ঝুলিয়ে রাখার যন্ত্র) বসানো হচ্ছে এখন। পদ্মা মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলে থাকবে মোট ৪২টি খুঁটি। যার মধ্যে নদীর মধ্যে ২৬২ টি পাইল। মূল সেতুর ২৯৪ টি পাইলের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪৭ টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। এসব খুঁটির ওপরে ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ইতোমধ্যেই ৯টি স্প্যান বসে গেছে। ৪২টি খুঁটির মধ্যে ২২টি খুঁটির নির্মাণ পুরোপুরি হয়ে গেছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ১০টি খুঁটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তাই ক্রমশঃ সেতু দৃশ্যমান হতে চলেছে।