04/19/2025 জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে ছোট্র স্বস্তিকা
Akbar
১১ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১০
আন্তর্জাতিক:প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ২৮ থেকে ৩০ মার্চ নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা বিষয়ক ফ্লাগশিপ কর্মসূচি গ্লোবাল ক্লাসরুম ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস প্রোগ্রাম বা জিসিআইমুন। ৩ দিনের ওই কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১২ বছরের স্বস্তিকা গার্গী চক্রবর্তী।
এবারে জিসিআইমুনের ১৫তম এই আসরে বিশ্বের ২৮টি দেশের ৫০ হাজার হাইস্কুল এবং ২৫০ প্রাইমারি স্কুল থেকে বাছাইকৃত প্রায় ৪ হাজার কিশোর-কিশোরী অংশগ্রহন করে তাদের কনসেপ্ট শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছেন।স্বস্তিকাই প্রথম বাংলাদেশি ছাত্রী যে এত কম বয়সে ওই দুর্লভ সুযোগটি অর্জন করেন।
জানা গেছে, সম্মেলন শেষে জমা দেয়া স্বস্তিকার শিশু শিক্ষা এবং কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য বিষয়ক কনসেপ্ট পেপার জাতিসংঘের অনুমোদন পেয়েছে। সুখবর হচ্ছে, তার কনসেপ্ট পেপার বা মডেলটি ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রয়োগ করতে চায় জাতিসংঘ। সম্মেলনে স্বস্তিকা তার মডেলের প্রায়োগিক দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের গ্রেড ফাইভের ছাত্রী স্বস্তিকা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই শিক্ষা সম্মেলনের সবকিছুতেই ছিল জাতিসংঘ সম্মেলনের মতো কায়দাকানুন। সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা, যুক্তি, তর্ক-বিতর্ক সবই ছিল সেখানে। সবকিছুতেই আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বপ্ন বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। এটা সূচনা মাত্র। আশা করছি এই সম্মেলন আমার স্বপ্নের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।
কি বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে গার্গি বলেন, ‘ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিমে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র হাইতি নিয়ে আমি কথা বলি। সম্মেলনে অংশগ্রহনের আগে হাইতির সমাজব্যবস্থা, চিকিৎসা, শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বিদেশনীতি বিষয়ে জানতে আমাকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে। হাইতির বিভিন্ন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর
সমাধানে আমার বক্তব্য তুলে ধরি।’
জাতিসংঘে বছরে জিসিআইমুন-এর দুটি আসর হয়। নানা বিষয়ে আলোচনা- বিতর্ক এবং মতবিনিময় হয় সেখানে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা শিশু-কিশোর যারা খাদ্য, পুষ্টি, চিকিৎসা, শিক্ষা, নাগরিক অধিকারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মূলত তাদের কথাই সেখানে
উচ্চারিত হয়।
এতে উন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনুন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ হয়। আলোচনা হয় ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়েও। অনুন্নতদের এগিয়ে যাওয়ার পথ ও পাথেয় বাতলে দেয়া হয়। অর্থনৈতিক অবস্থা যাই থাকুক শিশু-কিশোরদের সত্যিকারের বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার পাঠ দেয়া হয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিষয়ক ফ্লাগশিপ এই কর্মসূচিতে।
গার্গী পড়াশোনার পাশাপাশি নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্কুলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে কৃতিত্ত্বের সাক্ষর রেখে চলেছেন। ২০১৭ সালে বাংলা অলিম্পিয়াডে কবিতা আবৃত্তিতে ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্তিসহ বৃটিশ কাউন্সিলের বই পড়া প্রতিযোগিতা, স্পোর্টস প্রতিযোগিতা, আর্ট কন্টেস্ট,
বানান ও কুইজ প্রতিযোগিতা, ওয়ার্ল্ড ফ্লাগ ড্রয়িং প্রতিযোগিতাসহ নানামুখী কম্পিটিশনে ২৫-এর বেশি ক্রেস্ট পেয়েছেন।