05/25/2025 কাফনের কাপড় জড়িয়ে ধর্ষণ, নিপীড়নের প্রতীকী প্রতিবাদ
Akbar
১৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৩২
ঢাকা,১৮ এপ্রিল(বাংলাপ্রেস): গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও বিচারহীনতার প্রতীকী প্রতিবাদ জানালেন ১০ তরুণী। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে ‘ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি’ নামে এই প্রতীকী প্রতিবাদের আয়োজন করেন তারা। তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল-‘‘আমি ‘মানুষ’ বিচারহীন রাষ্ট্রে খুন ও ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভিকটিম পক্ষ"।
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এই প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন ১০ তরুণী। তবে #ভিক্টিম_পক্ষ হ্যাশট্যাগে ছেলেরাও এতে অংশ নিচ্ছেন।
'নারী নিপীড়ন এবং বিচারহীনতার প্রতিবাদ' সংগঠনের আহ্বায়ক শারমিন জাহান অর্পি বলেন, নুসরাত জাহান রাফির মতো হাজার হাজার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। বিচারের বাইরে থেকে যাচ্ছে তারা। একটা অপরাধের বিচার না হলে আরেকটা অপরাধের সুযোগ পায় মানুষ। তনু, নুসরাতসহ অন্য নারীরা নিপীড়নের জন্য রাষ্ট্রের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই দায়ী।
এই প্রতীকী প্রতিবাদ সম্পর্কে অর্পি বলেন, আমরা এ রাষ্ট্রের কাছে বিচার চেয়ে ক্লান্ত। আমাদের মনে হয়েছে, রাষ্ট্রের কাছে নিপীড়কের বিচার না চেয়ে আমাদের নিজেদেরই খুন বা ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া উচিত। তাই আমাদের এ ধরনের প্রতিবাদ।'
তিনি আরো বলেন, আমরা এমন প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। শাহবাগে নিয়মিত দাঁড়াব কাফনের কাপড় পরে। আমরা আমাদের প্রতিবাদী ইভেন্টে মূলত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেব।
"সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ
নারী নিপীড়ন খুন ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বহুকাল ধরে এদেশের সচেতন মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ সন্ধ্যা সাতটায় আমরা দাঁড়াচ্ছি শাহাবাগ চত্বরে। তবে আমরা প্রতিবাদটাকে। একটু ভিন্নভাবে ভাবছি। আমরা বিচার দাবি করবো না আজ আর। আমরা জানান দেবো যে বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে বিচারের দাবি জানাতে জানাতে এখন আমরাই প্রস্তুতি নিচ্ছি বিচারহীনতায় খুন ও ধর্ষিত হয়ে মারা যাবার।
আমাদের মৃত্যুর প্রস্তুতিরই উপস্থাপন হবে আজ শাহাবাগে। সকলকে অনুরোধ রইলো সম্ভব হলে এই প্রতিবাদে যোগ দিন। কেননা আমরা কয়েকজনই নই আপনিও রয়েছেন বিচারহীনভাবে ধর্ষণ ও খুন হয়ে যাবার।"
রাফিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা দেশজুড়ে ঝড় তোলে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার শ্লীলতাহানির শিকার নুসরাত প্রতিবাদী হয়ে মামলা করে তার পরিবার। পরে তদন্তে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার নীল নকশা। গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে এসে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে নিয়ে তার গায়ে আগুন দেয়া হয়। গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।