04/21/2025 শ্রীলংকায় সিরিজ বোমাহামালায় বাংলাদেশের রাজপরিবারের একজন সহ নিহত তিনজন, শোকের মাতম দেশজুড়ে।
Mahbubur Rohman Polash
২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩১
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান
চৌধুরী (৮) মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহির রাজেউন
এই মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি জনাব ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
আলাপ কালে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, মসজি,মন্দির, গির্জা, পাচতারকা হোটেল অথবা অন্য যে কোন জায়গায় এমন কাপুরুষচিত বর্বর নৃশংস হত্যাকানণ্ড মেনে নেয়া যায় না, এ হামলা কারীদের কোন ধর্ম নেই, আর ইসলাম ধর্ম তো কখনোই এ নৃশংসতা বরদাশত করে না, কি অপরাধ ছিল মাসুম শিশু জায়ানের ? হায়নাদের নিসঠুরতা থেকে কোমলমতী বাচ্চা রেহাই পায়নি মারা গেছে অনেক নারী। কোন ধর্মই এ বর্বর নিসঠুর হত্যাকানণ্ড সমর্থন করেনা, হামলা কারিরা একেক সময় একেক ধর্ম ব্যাবহার করে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করে থাকে, পৃথিবীজুরে এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মরন ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে। তাই বিশশবাসীর উচিৎ ঐক্যবদ্ধ ভাবে ধর্ম বর্ণ র ভেদাভেদ ভূলে সকলের সকল দেশকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এর মোকাবেলা করা, বাংলাদেশেও এই সন্ত্রাসী তৎপরতা মরন ব্যাধি ক্যান্সারের ন্যায় আকরে বসেছিল, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ এর কারনে তা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে, তারপর ও আমাাদের সজাগ থাকতে হবে দলমত নির্বিশেষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কোন ভাবেই যেন এদেশে এ বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড না ঘটে। মহান আল্লাহ শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাইয়ের পরিবার কে এবং যারা তাদের সজন হারিয়েছে তাদের এ শোক সয্য করার তৌফিক দান করুন।
এর আগে ব্রুনাই সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কায় বোমা বিস্ফোরণে শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স আহত হয়েছেন এবং নাতি জায়ান চৌধুরী নিখোঁজ হয়েছে।
শেখ সেলিমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা কলম্বোর উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।
সাংসদ শেখ সেলিম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গেছেন। তারা উঠেছিলেন কলম্বোর পাঁচ তারকা একটি হোটেলে।
রবিবার সকালে ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে বোমা হামলা হয়। এর মধ্যে হামলার শিকার একটি হোটেলের নিচতলার রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করতে গিয়েছিলেন প্রিন্স ও তার বড় ছেলে জায়ান চৌধুরী। ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে শেখ সোনিয়া ওই সময় হোটেলের কক্ষে ছিলেন।
বোমা হামলায় প্রিন্স আহত হন এবং ছেলে জায়ান নিখোঁজ হয়।
পরে জায়ানের নিশ্চিত মৃত্যু খবর পাওয় যায়।