04/20/2025 ‘তাকদুম তাকদুম বাজে’, ‘ওরে বিষম দরিয়ার ঢেউ’
Admin 1
১৪ এপ্রিল ২০১৭ ২১:৪৪
ছায়ানট এবার বর্ষবরণের অর্ধশতক পূর্তি পালন করছে। ৫০ বছর আগে ঠিক একই গান দিয়েই শুরু হয়েছিল ছায়ানটের বর্ষবরণের রেওয়াজ, যা আজ পয়লা বৈশাখের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। ছায়ানট তাদের বর্ষবরণের অর্ধশতক পূর্তি উপলক্ষে এবারের আয়োজন বিশেষভাবে সাজায়। মাসখানেক ধরে নেয় প্রস্তুতি।
ছায়ানটের এই আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আনন্দ, বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও অসাম্প্রদায়িকতা’। এবার আনন্দ, মানবতা, দেশপ্রেম ও উদ্দীপনামূলক কালজয়ী গানগুলো দিয়ে সাজানো হয় তালিকা।
এবার রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতি সংগীতানুষ্ঠানে বেশ কিছু নতুনত্ব আনা হয়। মঞ্চসজ্জায় আসে পরিবর্তন। ভোরের স্নিগ্ধতার প্রকাশ পায় সাজসজ্জায়। ছায়ানটের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভোর থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করে রমনা বটমূলে। নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ আসে। তাদের পরনে রঙিন পোশাক। সব মিলিয়ে বর্ণিল হয়ে ওঠে রমনার সবুজ উদ্যান। আয়োজন ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী। শিল্পীদের গান, কবিতা আর বাদ্যযন্ত্রের মূর্ছনায় পুরোটা সময়জুড়ে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ছিলেন সমাগত ব্যক্তিরা।
পঞ্চকবির গান ছাড়াও আজকের আয়োজনের তালিকায় স্থান পায় ‘তাকদুম তাকদুম বাজে’, ‘ওরে বিষম দরিয়ার ঢেউ’ সহ বেশ কিছু লোকগান ও গণজাগরণমূলক গান। ছায়ানটের শিল্পী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ১০টি সম্মেলক গান। একক কণ্ঠে গাওয়া হয় ১৪টি গান। সব মিলিয়ে পরিবেশনায় অংশ নেন ১৬০ শিল্পী।
অনুষ্ঠান শেষ হয় ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ দিয়ে। বরাবরের রীতি অনুসারে জাতীয় সংগীতের আগে ছিল ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন কথা। ঐতিহ্য অনুযায়ী জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর এবার অনুষ্ঠান শেষ হয়নি। দ্বিতীয় পর্বের জন্য দ্রুত বদলে ফেলা হয় মঞ্চসজ্জা। সকাল সাড়ে আটটার পর শুরু হয় পালাগান। দিলু বয়াতি ও তাঁর দলের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘দিওয়ানা-মদিনা’ পালা। ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পীদের নিয়ে পালাগানের পরিবেশনা এবারেই প্রথম।