
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে বেলফাস্টে পৌঁছেছেন। যদিও আইরিশ নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ার করে বলছেন, চুক্তি কিংবা চুক্তি ছাড়া যে কোন ভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া হলে যুক্তরাজ্য ভাঙার ঝুঁকিতে পড়বে।
জনসন আয়ারল্যান্ডের মূল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্রিটিশ প্রদেশটির ক্ষমতা ভাগাভাগির সরকার পুনরায় শুরু করা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এই সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
এদিকে অর্থনৈতিক ও শান্তি চুক্তির কারণে ব্রেক্সিটের পরও আয়ারল্যান্ড চাচ্ছে তার উভয়সীমান্ত উন্মুক্ত রাখতে। কিন্তু বেক্স্রিটের পর এই সীমান্ত ইইউ’র সীমানার মধ্যে আর না থাকার কারণে তা নজরদারির আওতায় চলে আসবে। যদিও সীমান্তের এই নজরদারি ব্যবস্থা না রাখলেই আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে উত্তেজনা কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট সম্পন্ন হলে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় তৈরি হবে এবং আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। এ প্রেক্ষিতে বরিস জনসন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের কাছে অঙ্গীকার করেছেন, যা কিছুই ঘটুক সীমান্তে দৃশ্যমান কোন নজরদারি হবে না।
জনসন ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে সোমবার স্কটল্যান্ড সফর করেন। মঙ্গলবার সফর করেন ওয়েলস। ব্রেক্সিটের পরও ব্রিটেনের ঐক্য বজায় রাখার তার অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যেই তিনি এসব সফর করছেন।