04/19/2025 সিরাজদিখানে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়মের অভিযোগ
odhikar patra
২৭ আগস্ট ২০১৯ ১৯:০৬
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজদিয়া আব্দুল জব্বার পাইলট উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও
টাকা আত্মসাদসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব নানা ঘটনায় বিদ্যালটি
জর্জরিত হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তাই দিন দিন ছাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু
করেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি এ বিদ্যালয়ে, চলছে ভারপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে টাকা আত্মসাদের কারণে
শোকজ ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সরোজমিনে বিদ্যালয়ের বেশ কিছু অভিভাবকদের সাথে ও কয়েকজন শিক্ষকদের সাথে
কথা বলে জানা যায়। নানা অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়টির বেহালদশা হয়েছে। আগের
চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা অনেক কমেগেছে। পাশের আরেকটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনেক
শিক্ষার্থী চলেগেছে। লেখা-পড়ার মান আগের চেয়ে অনেক দূর্বল হয়ে পরেছে।
কিছুদিন আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা প্রায় আড়াই লাখ টাকা
আত্মসাদ করে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল, সিদ্দিক, মান্নান ও খোদেজা
বেগমসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট
অনুযায়ী উল্লেখিত টাকা আত্মসাদের প্রমান মিললে গোলাম মাওলাকে সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়। এরপর সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা আত্মসাদের
টাকা স্কুল একাউন্টে জমা দেন। বর্তমান বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম সোহরাব
হোসেন এই শিক্ষককে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বা সমাধান না করে শিক্ষক
হিসেবে বহাল রাখায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছারা বিদ্যালয়ের এই
সভাপতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা গত ৪ মাস যাবৎ নিজের কাছে রেখেছেন।
টাকাটা অনিক প্রকাশনী থেকে বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা বিদ্যালয়ের
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হলেও এখনো কোন অনুষ্ঠান
হয়নি এবং টাকাটা বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখা হয়নি।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা জানান, আমার নিকট ২ লাখ ৩৩
হাজার টাকার কিছু বেশি ছিল, সেটা আমি ব্যাংকে স্কুল একাউন্টে জমা
করেছি। আমাকে কেউ বরখাস্ত করেনি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম সোহরাব হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আপনারা যে প্রশ্ন
করলেন এ কথাগুলো সঠিক না। গোলাম মাওলা টাকাটা আত্বসাদ করেনি তার কাছে
জমা ছিল। সে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে অপারগতা প্রকাশ করে অব্যাহতি দেন।
এখন সে সহকারি শিক্ষক হিসেবে আছেন। অনিক প্রকাশনীর কোন টাকা আমার
জানা নাই। আমার সাথে কোন টাকার লেনদেন হয় নাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল ওয়াহেদ মোহাম্মদ সালেহ জানান,
প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। গোলাম মাওলার বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বিষয়। তারা সাময়িক বরখাস্ত করেছে আবার তারাই নিয়োগ
দিতে পারে।#