ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শুরু করেছে। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান মিতু মরিয়ম জানান, ‘মঙ্গলবার থেকেই আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে যারা রেসপন্ড করেছে তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি। আমাদের তদন্ত কাজ চালু আছে।’
এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছুতে আসতে পারেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে সেটি আমাদের এখনও বলা হয়নি। সেটি জানার পর আমরা বলতে পারবো কবে প্রতিবেদন জমা দিবো।”
মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা ও আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হন।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কমিটির সদস্যরা।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথা সিগনাল ভঙ্গ করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরীও দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার আউটার ও হোম সিগনাল অমান্য কারার কথা জানান। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রেলপথ মন্ত্রণালয়ও তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী মামলটি দায়ের করেন।
আখাউড়া রেললওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কান্তি দাস জানান, স্টেশন মাস্টার থানায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা দায়ের করেছেন।