04/22/2025 এমপি লিটন হত্যায়
odhikar patra
২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০২:১৩
মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনগাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ডা. কাদের খানসহ ৭ আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
চন্দন কুমার পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামির মধ্যে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহীন ও রানা জেলা কারাগারে রয়েছেন। মামলার আট নম্বর আসামি কসাই সুবল সম্প্রতি কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।
তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতারের পর থেকে কাঁদের খান গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
আলোচিত এ মামলার ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৫৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চলতি বছরের ১৮ ও ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি শফিকুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালতের বিচারক।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডা. আবদুল কাদের খাঁন, তার ভাতিজা মেহেদি, পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আব্দুল হান্নান, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহিন, রানা ও চন্দন কুমার রায়।