
ঢাকা ঃ ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি ) ঃ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হোক। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে কানাডা সরকারের কাছে এ দাবী জানিয়ে আসছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কানাডা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক অংশিদার। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। কানাডার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের সক্ষমতা ও পণ্য সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা নেই। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সতের কোটি মানুষের দেশ। দেশের অভ্যন্তরিন বাজার অনেক বড়। কানাডা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হবেন। কানাডা চাইলে বাংলাদেশ একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত। অনেক দেশ ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কানাডায় পড়া- লেখা করছে। কানাডা চাইলে কৃষিবিত্তিক উন্নত মানের বিশ^বিশদ্যালয় বাংলাদেশে গড়ে তুলতে পারে। যে কোন বিনিয়োগে সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত কানাডার ঝধংশধঃপযবধিহ চৎড়ারহপব -এর কৃষিমন্ত্রী গৎ. ফধারফ গধৎরঃ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় তৈরী পোশাক রপ্তানি করছে। কানাডা থেকে পণ্য আমদানি করে তা প্রক্রিয়াজাত করে অন্যদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়াতে কানাডার ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদেরকে বাংলাদেশ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা দিতে হবে। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্ভাবনা কানাডার ব্যবসায়ীদের জানাতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন তৎপরতার কারনে ইতোমধ্যে কানাডার ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে।
কানাডার ঝধংশধঃপযবধিহ চৎড়ারহপব -এর কৃষিমন্ত্রী বলেন, কানাডা বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। কৃষিসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। কানাডা বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য দুইটি এমওউ স্বাক্ষর করছে। বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। কানাডায় প্রচুর ক্যালোনা উৎপাদন হয়। ক্যালোনা তেল বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ এগুলো আমদানি করে অভ্যন্তরিন চাহিদা পূরণ করে অন্যদেশে রপ্তানি করতে পারে।
কানাডার ঝধংশধঃপযবধিহ চৎড়ারহপব -এর কৃষিমন্ত্রীর সাথে সফরসঙ্গী ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিষ্টার রিক বার্টন(জরপশ ইঁৎঃড়হ), ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইন (ইবহড়রঃ চৎবভড়হঃধরহব), ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার কাউন্সিলর(কমার্শিয়াল) মিস করিনি পেট্রিসোর(গং. ঈড়ৎরহব চবঃৎরংড়ৎ), সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ কৃষিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: