ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

করোনায় ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১৮২, মারা গেছেন ৫ জন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:২২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:২২

 

ঢাকা, ১৩ এপ্রিল, ২০২০  : করোনায় দেশে ২৪ ঘন্টায় আরও ১৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৩।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সম্পর্কে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে নিজ বাসা থেকে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনিও করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৫৭০টি নমুনা সংগ্রহ দেশের ১৭টি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১৮২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৮০৩। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জন মারা গেছেন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ জনে।এছাড়া যারা আগে থেকে আক্রান্ত, তাদের মধ্যে আরও ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন।’
করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সামাজিক ভাবে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করেছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে লোকজন দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংক্রামণ ছড়াচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদেরকে আরও বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। লকডাউন জোরদার করতে হবে। রোগের বিস্তারের পাশাপাশি আমরাও চিকিৎসার সামর্থ বাড়াচ্ছি। কিন্তু এক সঙ্গে লাখ-লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে পৃথিবীর অনেক দেশের পক্ষেই সম্ভব নয়। অনেক উন্নত দেশ এই পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকায় প্রতিদিন যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে আর সংক্রমিত হচ্ছে সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। আমরা এই ভালোটা ধরে রাখতে চাই।’ করোনা চিকিৎসায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, নতুন তিনটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার বা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। একটি বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি পুরানো মার্কেট এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে চারটি ভবন। এসব হাসপাতালের কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো প্রস্তুত করা যাবে। এছাড়াও আমরা বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এর মধ্যে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতালের পুরানো অংশটুকু এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পুরানো বার্ন ইউনিট রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের একটি ভবনকেও তৈরি করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে আমরা প্রথমেই শাহবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫০০ বেড এবং আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭০০ বেড নেবো। এগুলো ভালো হাসপাতাল এবং সেখানে আইসিইউ রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় যেসব বেসরকারি হাসপাতাল এগিয়ে আসছে তাদেরকেও তালিকাভুক্ত করে নিচ্ছি।
তিনি জানান, ঢাকার মিরপুর, বাসাবোসহ বেশ কয়েকটি এলাকা বেশি সংক্রামিত হয়েছে। নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন আরও ৫ হাজার ৬৮৪ জন। এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৮৫ হাজার ৪৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১৮৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫ জন এবং এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৭৬ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ১৭ জন।
করোনার বিস্তাররোধে তিনি সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: