
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, একজন মিডওয়াইফ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে মা ও পরিবারের মতো জীবনের অংশ হয়ে উঠবেন।
তিনি বলেন, ‘মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাসে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে মিডওয়াইফগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ লক্ষ্যে তিন হাজার মিডওয়াইফ পদসৃষ্টিসহ মিডওয়াইফ শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
আগামীকাল আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ধাত্রী, মা ও পরিবার : জীবনের অংশ ।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মিডওয়াইফদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
‘ আমরা নতুন নতুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা ১৮ হাজার ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছি। এর ফলে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে রোগীদের ৩০ প্রকারের ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃমৃত্যু, শিশু পরিচর্যা ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৬০০ এডভান্সড সার্টিফাইড মিডওয়াইফকে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টারে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি ৫৮৯ জন মিডওয়াইফ নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সকল জেলায় পর্যায়ক্রমে মিডওয়াইফ নিয়োগ দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি ৩৮টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি ১৬টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বৎসর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু আছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নার্সিং শিক্ষা, প্রশাসন ও সেবা প্রদান আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে এ পেশায় নিয়োজিত কর্মচারীদের পদোন্নতির সোপান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।
তিনি ‘মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: