ঢাকা | শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়’-

বিচার ক্ষমতা প্রত্যাহার সেই বিচারকের

amaderodhikarpatra@gmail.com | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০২:২৩

amaderodhikarpatra@gmail.com
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০২:২৩

 

sharethis sharing button

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২১: ‘৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়’-রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেয়া বিচারককে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দেন।
সুপ্রিমকোর্টের মুখপত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, "আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সেই বিচারপতি আর আদালতে বসতে পারবেন না। তার বিচার ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।"
সুপ্রিমকোর্ট মূখপাত্র বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিগণের আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা: কামরুন্নাহারকে অদ্য ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টা হতে আদালতে না বসার নির্দেশ প্রদান করেছেন । তার বিচার ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল হতে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট হতে সকাল সাড়ে ৯ টায় আইন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বনানীর রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার বিচারকের পাওয়ার সিজ (কেড়ে নেয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবে।
প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন,  'একটি কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি ওনার রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমি শুধু ওনার এই যে অবজারভেশন (৭২ ঘন্টা পরে পুলিশ যেন কোন ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়) এই যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং অসাংবিধানিক। এ কারণে আমি প্রধান বিচারপতির কাছে তার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন (ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার) নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয় সেজন্য একটা চিঠি লিখছি।'  
এর আগে গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে এ পরামর্শ দেন।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।
খালাস পাওয়া অপর ৪ জন হলেন সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: