ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতার ওপর হামলাকারী ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২২ ০১:০৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২২ ০১:০৭

 

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম আজ জানায়, গত ৩১ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় এবং সাবেক নেতা রাশেদ হোসাইন মোটর সাইকেলযোগে হাটহাজারী থানাধীন ১১ নং ফতেপুর মদনফকির মাজারের সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের পাশে ওঁৎ পেতে থাকা জালাল, ইমন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন আসামি লোহার রড, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্টাম্প, লোহার চেইন, লাঠিসোঠাসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং প্রদীপকে লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তাদের মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও রাশেদ হোসাইনকে গুরুতর আহতাবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রদীপের ছোট ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ৮ জন সুনির্দিষ্ট এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র‌্যাব জানায়, ঘটনার পর হতে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৭ জড়িতদের গ্রেপ্তারের লক্ষে খবর নিয়ে জানতে পারে এজাহারভূক্ত ৪ নং আসামি জালাল উদ্দিন জোবায়ের (৩০) হাটহাজারী থানাধীন ফতেপুর এলাকায় ও ৬ নং আসামি মো. ইমন (২৪) মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে র‌্যাবের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেপ্তার করে। ইমন হাটহাজারী বখতিয়ার ফকিরের বাড়ির মো. রফিকের পুত্র এবং জালাল হাটহাজারী বলিটিলা মো. ফরিদ আহাম্মদের পুত্র।
গ্রেপ্তারের পর উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামিরা উল্লিখিত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স¦ীকার করে। তাদের সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক সংক্রান্ত ২টি এবং ইমনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত ২টি মামলা রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: