ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সিরাজদিখানে বসন্তের সৌরভ ছড়াচ্ছে  বরুণ ফুল

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৪৬

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৪৬

কৌশিক মন্ডল আকাশ:

গ্রাম বাংলার পথঘাট মাঠে অবহেলায় অযত্নে বেড়ে ওঠে এই বরুন গাছগুলো, বসন্ত এলেই শীতের জীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলে প্রাণের সঞ্চার হয় এই বরুন গাছে , গাছের কান্ড শাখা-প্রশাখায় নতুন পাতার কুড়ি উঁকি দিয়ে জানান দেয় বসন্ত এসে গেছে,সবুজ পত্র পল্লবে সেজে ওঠে পুরো গাছ ,কিছুদিনের মধ্যেই পুরো বৃক্ষরাজি সেজে ওঠে  থোকায় থোকায় হলদেটে  শুভ্র ফুলে,বসন্তের প্রকৃতিকে সাজিয়ে  তোলে  এক অপরূপ সৌন্দর্যে, বসন্তের শেষে ফুল ঝরে গেলে এই গাছে দেখা যায় অনেকটা কৎবেলের মত সাদা রঙের ফল বর্ষায় এই বরুন গাছের ফল পরিপক্ক হয়ে ঝরে পড়ে।।

বরুণ (বৈজ্ঞানিক নাম:Crateva religiosa) (ইংরেজি: sacred garlic pear এবং temple plant) হচ্ছে Crateva গণের একটি ফুল গাছের নাম। অনেক জায়গায় বরুণকে 'বইন্যা গোটা" ও বলে।এদের অন্যান্য নামের ভেতর আছে বালাই লামক, অবিয়ুচ, বর্না, এবং বিদাসি। এটি জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং কতিপয় দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় গাছ। এটি অন্যত্র ফলের জন্য জন্মানো হয়, বিশেষভাবে আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন অংশে। বাংলাদেশেও ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় এই গাছ দেখা যায় বেশ।

একসময় গ্রামবাংলার মেঠো পথে হরহামেশাই দেখা যেত এই  বুনো গাছের, নির্বিচারে এই বুনো গাছ কেটে ফেলার কারণে হিজল তমালের সাথে সাথে এই বরুন গাছটিও  বিলুপ্তির পথে ।।

প্রকৃতি প্রেমি মোঃ শাহাদাত হোসেন শিফু বলেন নগরায়নের তোপে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এই গাছ। গ্রামাঞ্চলেও আগের মতো দেখা যায় না। শহরাঞ্চলের কর্তাদের বিদেশি গাছ প্রিতীর কারণে অনাদর অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে বরুণ। এত সুন্দর ফুল থাকার পরেও নগরের শোভাবর্ধনে এই গাছ ব্যবহারের কোন উদ্যোগ নেই। মেহগনি ও লম্বু গাছ দিয়ে ভরা হচ্ছে ঢাকা।এমনিতেই বিদেশি গাছ আমাদের পরিবেশে বিরুপ প্রভাব ফেলে। তাই বরুণের মতো দেশীয় গাছগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নগরের শোভাবর্ধক গাছ হিসেবে বরুণ, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, ছাতিমের মতো গাছগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: