ঢাকা | রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ প্রকাশের জেরে এবার হল থেকে বহিষ্কার ইকবাল

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৫

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সংবাদ প্রকাশের জেরে এবার সাংবাদিককে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম হল প্রশাসন। গত ৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয় যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারের বিরুদ্ধে। বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ০২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশ সাপেক্ষে কাজী নজরুল ইসলাম হলের হল প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বলবৎ থাকাকালীন হলে অবস্থান না করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। তবে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলেও ঐ শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় অংশগ্রহণ সহ হলে অবস্থান করতে কোন বাধা প্রদান করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২২ সালের ১৪ই জুন একটি গণমাধ্যমের গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুহা নূর উদ্দিন হোসাইনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় এবং হল ছাড়ার বিষয়ে কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় তখন উপাচার্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি তাই তাকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়েছে এবং হলে অবস্থান করতে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ই মার্চ কর্তব্য পালনে বাঁধা, শিক্ষককে হেনস্তা এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে লোক প্রশাসন বিভাগের ১১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সালাম চৌধুরী হৃদয়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এসময়ও তাদের হল ছাড়ার কোনো নির্দেশ প্রদান করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিককে কল দেওয়া হলেও প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেনি তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের 'নবীন বরন ও বিদায়' অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন 'অনেকেই বলেন দেশে দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। কিন্তু আমি বলব উলটো কথা। দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন। যে ঘুষ খায়, সে পদ্মা পাড়ে যায় ইলিশ খেতে। এতে পদ্মা পাড়ের গরীব মানুষেরা ধনী হচ্ছে। দুর্নীতি এভাবে অর্থনীতিতে অবদান রাখে। তাই অর্থনীতিবিদগণ দুর্নীতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে না। তবে যারা পলিটিক্যাল ইকোনমি নিয়ে কাজ করে তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে থাকে। নৈতিকতার জায়গায়ও এটা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে অর্থনীতির জায়গায় থেকে যদি বল, দুর্নীতি কখনোই উন্নয়নের জন্য বাঁধা নয়।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: