ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

মন্ত্রিসভায় বিএডিসি ও পিআইবি আইনের খসড়া অনুমোদন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৫৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৫৯

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও প্রেস ইনিস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইনের খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। প্রতিষ্ঠান দু’টির বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের লক্ষ্যে এই খসরার অনুমোদন দেয়া হয়। 


আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।


বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এই প্রতিষ্ঠান দু’টির আইনের খসড়া অনুমোদনের কথা জানান। 


তিনি বলেন, ১৯৬১ সালের পূর্ব পাকিস্তান আমলের ৩৭ নং অধ্যাদেশের স্থলে বিএডিসি এ্যাক্ট-২০১৮ টি প্রতিস্থাপিত হবে। অধ্যাদেশটি ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ সালে সংশোধিত হয়।


শফিউল বলেন, ২০১০ সালে হাইকোর্ট সামরিক শাসন ও তাদের জারীকৃত অধ্যাদেশ অবৈধ ঘোষণা করায় মন্ত্রিসভা প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক বিএডিসি আইনটি নতুন করে বাংলায় প্রণয়ন ও অনুমোদন করে।


আইন অনুযায়ী বিএডিসি প্রধানত বীজ ও চারা উন্নয়ন, সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, সার বিতরণ, সেচের অবকাঠামো তৈরি এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।


নতুন কাঠামো অনুযায়ী সরকার নিয়োজিত একজন চেয়ারম্যানকে প্রধান করে বিএডিসি বোর্ড গঠন করা হবে। বোর্ডে একজন সচিব ও পাঁচজন পূর্ণকালীন সদস্য থাকবেন। 


সমবায় বিভাগের রেজিস্ট্রার, বিআরডিবি’র মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান, কৃষি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন করে প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের একজন সদস্য, বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্র (বিআরআরআই) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) একজন করে প্রতিনিধি এবং কর্পোরেশনের পাঁচজন পরিচালক নিয়ে এই বোর্ড গঠিত হবে।


বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট, ২০১৮ এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসবে, যা ১৯৭৬ সালের ১৮ আগস্ট থেকে একটি সরকারি রেজুলেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।


খসড়ায় বলা হয়, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মূল কার্যক্রম হবে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান। পাশাপাশি যে কোন সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বা বেসরকারি সংস্থার কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।


খসড়ায় আরও বলা হয়, এই ইনস্টিটিউট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সার্টিফিকেট প্রদান ও প্রশিক্ষণ কোর্সের পাঠ্যক্রম তৈরি, সাংবাদিকতা পেশার মানোন্নয়নে প্রযুক্তিগত সুবিধার ব্যবস্থা করা এবং সাংবাদিকতা পেশায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য সাংবাদিকদের পুরস্কার প্রদান করবে।


এই আইনে ‘সাংবাদিক’ সংজ্ঞায় যিনি কোন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় বা নতুন এজেন্সিতে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন তাকে সাংবাদিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, ফিচার রাইটার, প্রতিবেদক, সংবাদদাতা, কপি রাইটার, কার্টুনিস্ট, ফটোগ্রাফার, সম্পাদকীয় সহকারী এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য ব্যক্তিগণ সাংবাদিক হিসেবে বিবেচিত হবেন।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনের আওতায় ইনস্টিটিউটে একজন চেয়ারম্যানকে প্রধান ও পিআইবি’র মহাপরিচালককে সদস্য সচিব করে একটি বোর্ড অব ডাইরেক্টরস বা পরিচালকমন্ডলী থাকবে।


তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান, দু’টি বহুল প্রচারিত দৈনিকের সম্পাদক, একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অথবা সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) মনোনীত দুইজন সাংবাদিক এবং সরকার মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নিয়ে এই বোর্ড গঠিত হবে।

বোর্ডে মনোনীত সদস্যদের কার্যকাল হবে দুই বছর এবং সরকার চাইলে কোন কারণ ছাড়াই যে কোন সদস্যকে অব্যাহতি দিতে পারবে।-খবর বাসসের



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: