ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
রোববার পাকিস্তান পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে তার এশিয়া সফর শুরু

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এর এশিয়া সফর

gazi anwar | প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৩

gazi anwar
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৩

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রোববার পাকিস্তান পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে তার এশিয়া সফর শুরু করেছেন।
‘এমবিএস’ হিসেবে পরিচিত যুবরাজ সালমান সোমবার পর্যন্ত রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থান করবেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
পাকিস্তানের পর সালমান ভারতে যাবেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জ্বালানীমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার সৌদি যুবরাজ চীন সফরের মধ্য দিয়ে তার এশিয়া সফরের ইতি টানবেন।
তার রোববার ও সোমবার ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় সংক্ষিপ্ত সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও শনিবার তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এর কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এমবিএস এর কট্টর সমালোচক সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকা-ের পাঁচ মাস পর তিনি এশিয়া সফর করছেন। ওই ঘটনাটি নিয়ে ইস্তাম্বুলের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
প্রথমে রিয়াদ এই হত্যাকা- অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেছে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তুরস্ক শুক্রবার জানিয়েছে, তারা এখনো এই হত্যাকা- সম্পর্কে যেসব তথ্য জানতে পেরেছে তার পুরোটা প্রকাশ করেনি।
খাসোগি হত্যাকা-ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে এবং সৌদি আরব বিশেষত সৌদি যুবরাজের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
সিঙ্গাপুরের এস রাজারতœম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর গবেষক জেমস এম দোসেই বলেন, ‘সালমান বিশ্বকে জানাতে চান যে তিনি মন্দ লোক নন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাদশাহ’র পর সৌদি আরবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে সৌদি যুবরাজকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনিও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে কাজ করতে পারেন।’
চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক লি গোউফু বলেন, ‘সালমান পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যাচ্ছেনা মানে এই নয় যে তিনি প্রাচ্যের কাছে আসতে পারবেন না। সৌদি আরবও কৌশলগত পরিবর্তন আনছে। এশিয়া সৌদি কূটনীতির নতুন মেরুকরণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের, অর্থাৎ এশিয়ান দেশগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আমরা অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না।’
সৌদি যুবরাজের এই সফরে অর্থনীতি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
দোরসে বলেন, ‘চীন সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। চীন ছাড়াও ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সৌদি আরব থেকে প্রচুর তেল কেনে।’
গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষমতা গ্রহণের পর সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতোমধ্যে দুদফা সৌদি আরব সফর করেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: