ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

বিশ্ব মিডিয়ায় হিরো রশিদ

Akbar | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৯ ১০:১৪

Akbar
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৯ ১০:১৪

 

ডেস্ক: নাইম রশিদ। নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হত্যাযজ্ঞের সময় তিনি নিজের জীবনের দিকে ফিরে তাকান নি। হামলাকারী যখন নির্বিচারে মুসল্লিদের গুলি করে হত্যা করছিল পাখির মতো, তখন তিনি দেখিয়েছেন অসীম সাহসিকতা। জাপটে ধরে হামলাকারীর বন্দুক কেড়ে নেয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করেন। ততক্ষণে লাশের সারিতে যোগ হয়েছে তারই ছেলে তালহা (২১)-এর দেহ। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে, নিজেকে শক্ত করে, জীবন বাজি রেখে তিনি লড়াই চালিয়ে যান হামলাকারীর সঙ্গে। তা না হলে নিহতের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি হতে পারতো। যে নাইম রশিদ নিজের জীবন বাজি রাখলেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, মুসলিম ভাইদের রক্ষার জন্য, শেষ পর্যন্ত তিনিই বাঁচতে পারলেন না।

তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলো।কিন্তু সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন (ইন্না....রাজিউন)। তাই বিশ্ব মিডিয়া তাকে হিরো বা নায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তার ছবি দিয়ে আলাদা রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।

শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে গিয়েছিলেন নাইম রশিদ ও তার ছেলে তালহা। মসজিদ তখন কানায় কানায় পূর্ণ। অকস্মাৎ সেখানে সিনেমার ভিলেনদের মতো এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট (২৮)। নাইম রশিদের চোখের সামনে লুটিয়ে পড়তে থাকে মুসল্লি ভাইদের দেহ। রক্তে ভেসে যেতে থাকে মসজিদের মেঝে। চারদিকে আর্ত চিৎকার। দিকভ্রান্ত মানুষ। ছুটাছুটি করছে। তার সামনে লুটিয়ে পড়ছেন মানুষ। তার মধ্যে রয়েছেন তারই ২১ বছর বয়সী ছেলে তালহাও।


একজন পিতা হিসেবে সেই দৃশ্য তার হৃদয়ে যে কম্পন তোলার কথা, যে ঝড়ে তার ভেঙে পড়ার কথা, তিনি তার বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। নিজেকে স্থির করলেন। অস্ট্রেলিয়ান হামলাকারী ব্রেনটন টেরেন্টের কাছ থেকে তার অস্ত্র কেড়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলেন। এই ধস্তাধস্তিতে যে সময়টা লেগেছে তার মধ্যে অনেক মুসলিম মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে পেরেছেন। তা না হলে আরও কি ভয়াবহতা ঘটতে পারতো তা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। তাই তিনি হয়ে উঠেছেন হিরো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: