
আন্তর্জাতিক,১৮এপ্রিল(অধিকারপত্র): যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন ও প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এ সময় তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে জাতীয় চার নেতার অবদান এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তার বক্তব্যে মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন বলেন, মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং সরকার ব্যবস্থাপনাও সূচারুরূপে পরিচালনা করেছে। এমনকি আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যন্ত রেখেছে। মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে বিশ্ব জনমতকে পক্ষে আনা যা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে পেরেছে।
তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: