ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ হাইকোর্টের

Akbar | প্রকাশিত: ৮ মে ২০১৯ ১২:৪১

Akbar
প্রকাশিত: ৮ মে ২০১৯ ১২:৪১

ঢাকা০৮ মে (অধিকারপত্র):সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো তিন মাসের মধ্যে সংস্কার করে তা ঝুঁকিমুক্ত, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয় সচিব এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিএইডি) প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রকৌশলীকে (ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স ডিপার্টমেন্টে) আদালতে আগামী ২১ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে বরগুনার তালতলীতে সরকারি স্কুলের ভবনের ছাদের বিম ধসে পড়ে এক ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনার পর গত ৭ এপ্রিল মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব রিটটি দায়ের করেন।

রিটে সারাদেশের সব প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল ও মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

ব্যারিস্টার পল্লব জানান, হাইকোর্ট প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসার নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত এবং নিরাপদ স্কুল ভবনের নিশ্চয়তা প্রদানেরও নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ও নিরাপদ স্কুল ভবনের নিশ্চয়তা প্রদানে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। পাশাপাশি আগামী ২১ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল বরগুনার তালতলীতে সরকারি স্কুলের ভবনের ছাদের বিম ধসে পড়ে এক ছাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও অন্তত ৯ জন। উপজেলার ৫নং ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার ৫নং ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ স্কুল ভবনটি নির্মাণ করেন। ওই সময় ভবনটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: