সম্প্রতি বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে জন্য ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে ঢাকার জন্য মাত্র একটি ভিসাকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। ফলে এখন ঢাকায় একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই ভিসা সংক্রান্ত সব কাজ করা যায়। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ১৮ হাজার ৫০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে এখন ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার গ্রাহক এখান থেকে সেবা নিতে পারছেন।
ভিসা প্রাপ্তির জন্য প্রথম অনলাইনে এই ঠিকানায় গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এর আগে সদ্য তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ২ ইঞ্চি বাই ২ ইঞ্চি ছবি সংগ্রহ করে সেটি স্ক্যান করে নিন। কারণ অনলাইনে পূরণকৃত ফরমের সঙ্গে স্ক্যানকৃত ছবি যুক্ত করতে হবে। ছবির সাইজ হবে ১০-৩০০ কিলোবাইট। ফরম পূরণ করা হয়ে গেলে তা প্রিন্ট করে সদ্য তোলা ছবি যুক্ত করে নিন।
নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে ফরম জমা দিন। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল ফোনে জমা হওয়ার মেসেজ আসবে। ভিসা আবেদনপত্র জমা শেষেও আরেকটি টোকেন দেওয়া হবে। এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের বেলায় লাগবে। তাই সেটি সংরক্ষণ করা জরুরি। দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট যখন ভিসাকেন্দ্রে আসবে তখনও একটি মেসেজ পাঠানো হবে মোবাইল ফোনে। নির্দিষ্ট দিনে টোকেন দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে হয়।
পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর চাইলে পাসপোর্টের অবস্থান জানা যাবে। এজন্য এই ঠিকানায় গিয়ে টোকেনে থাকা অ্যাপ্লিকেশন আইডি, পাসপোর্ট নম্বর ও স্ক্রিনে দেখানো অ্যাকসেস কোড লিখে জমা দিলেই ভিসা স্ট্যাটাস বা আবেদনপত্রের স্ট্যাটাস সামনে আসবে।
ভাবছেন এত বড় প্রক্রিো শেষ করতে কতক্ষণ লাগবে? ফরম নিয়ে ভিসাকেন্দ্রে জমা দেওয়াসহ পুরো কাজটি করতে লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট!
আর পাসপোর্ট সংগ্রহ করতেও এর চেয়ে বেশি সময় লাগবে না। ভিসাকেন্দ্র রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চালু থাকে। আর প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়।তো আর চিন্তা কি! দ্রুততার সঙ্গে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চলে যান যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসাকেন্দ্রে। যমুনা ফিউচার পার্কের প্রবেশমুখেও নিয়মাবলীর বিস্তারিত রয়েছে। চাইলে পড়ে নিতে পারেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: