odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 25th October 2025, ২৫th October ২০২৫

‘সরি আম্মা’ শিশু দরজায় লিখে গেলো ৩০ ব্যাক্তির ধর্ষণের শিকার

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৬ September ২০১৯ ১৮:৩৪

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৬ September ২০১৯ ১৮:৩৪

 

৩০ ব্যাক্তির ধর্ষণের শিকার শিশু দরজায় লিখে গেলো ‘সরি আম্মা’
উদ্ধারের সময় কাঠের দরজায় ‘সরি আম্মা’ লিখে যায় শিশুটি। ছবি: সংগৃহীত
 
 

তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছিল ১০ বছর বয়সে। বেকার বাবার উপার্জনের সহজ রাস্তা ছিল স্ত্রী ও ১২ বছরের মেয়েকে দেহ ব্যবসায় নামিয়ে দেওয়া। দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হতো স্ত্রী-মেয়ে। আর কাঁচা টাকায় পকেট ভরাতো বাবা। গত শনিবার ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ওই শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাকে ঘর থেকে হোমে নিয়ে যায় চাইল্ডলাইন। ভারতের কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুই রুমের ছোট কাঠের ঘরের একটা রুমে থাকতো মেয়ে। পাশের ঘরে তার বাবা-মা। যখনই পকেট খালি থাকতো তখনি কাউকে না কাউকে মেয়ের ঘরে ঢুকিয়ে দিত বাবা। বিনিময়ে মিলত কাঁচা টাকা। এভাবেই দু’বছর ধরে নির্যাতন চলছিল তার উপর।

সম্প্রতি মেয়েটির এক সহপাঠী স্কুলের শিক্ষিকার নজরে বিষয়টি আনেন। তখনো অবশ্য সহপাঠী বা স্কুলের শিক্ষিকা কেউই জানতেন না কী ঘটেছে। মেয়েটি মাঝে মধ্যেই স্কুলে আসত না, তার আচরণেও অস্বাভাবিকত্ব দেখা দিয়েছিল। প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তো সে। সহপাঠী শুধু এটুকুই জানিয়েছিল স্কুলের শিক্ষিকাকে। স্কুলের পক্ষ থেকেই চাইল্ডলাইন কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। চাইল্ডলাইন কর্তৃপক্ষ তার কাউন্সিলিং করান। তখনই জানতে পারেন, কতটা যন্ত্রণা বুকে চেপে রয়েছে ওই ১২ বছরের মেয়েটা।

শিশুটি জানায়, প্রথমে তার বাবা মায়ের সঙ্গে ঠিক এটাই করতো। দুই বছর ধরে তার সঙ্গে এটা ঘটে চলেছে। সব মিলিয়ে মোট ৩০ জন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে। শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণও পেয়েছেন চিকিৎসকেরা।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মলপ্পুরমের এই অঞ্চলে পাঁচ বছর ধরে ওই পরিবারের বাস। বাড়ির ভেতরে যে খারাপ কিছু ঘটে তা প্রতিবেশীদের অনেকেই জানতেন। প্রায়ই রাতে ওই নাবালিকার কান্নার আওয়াজ তারা পেতেন। রাত হলেই বাড়ির ভেতরে বাইরের লোক ঢুকতেও দেখতেন। তবু তারা ভয়ে এবং অহেতুক ঝামেলা ভেবে এই বিষয়ে জড়াতে চাননি। প্রতিবেশীদের সাহায্য পেলে অনেক আগেই ওই শিশুকে উদ্ধার করা যেতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাবা হয়তো মেয়ের কথা ভাবেনি। মেয়েকে পণ্য হিসাবে ব্যবহার করেছে। মাও দাঁড়ায়নি মেয়ের পাশে। কিন্তু সে চলে গেলে পরিবারের উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। উদ্ধারের সময়ও সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছে ওই শিশুকে। উদ্ধারের সময় ছোট হাতে কাঠের দরজায় লিখে দিয়েছে, ‘সরি আম্মা’

ইওেফাক 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: