ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
টেকসই শিল্পায়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে

বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১৭

Admin 1
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমজীবী মানুষের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই শিল্পায়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে শিল্প-কারখানার মালিক, বিনিয়োগকারী, ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।।
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপদ দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামীকাল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপদ দিবস। নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘শোভন কর্মপরিবেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো ‘দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন।
তিনি ছিলেন শ্রমিকদের অকৃত্রিম বন্ধু। শ্রমিকদের অধিকার এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর পরই তিনি সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন, শোভন কর্মপরিবেশ ও কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। নারায়নগঞ্জ এবং গাজীপুরে শ্রমিকদের জন্য দ’ুটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে শোভন, সুস্থ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপদ নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমিকদের চিকিৎসা ও সন্তানদের উচ্চশিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দক্ষ জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় ও সুসংহত করার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: