ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

রমজানে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা

Admin 1 | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৩০

Admin 1
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৩০

গরুর মাংসের ব্যবসা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ইজারাদারদের দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। এর জেরে গরুর মাংসের দাম চার মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বাড়তি দামের ফলে গরুর মাংস বিক্রি কমে গেছে। তাই ১ রমজান থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তাঁরা।
আগামীকাল রোববার মাংস ব্যবসায়ীদের সমিতি নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। এর আগে কয়েকটি দাবিতে গত ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনের কর্মবিরতি পালন করে তারা।
মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর ধরে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি অর্থ আদায় করছেন গাবতলী পশুর হাটের ইজারাদার। ফলে প্রতিটি গরুর জন্য বাড়তি পাঁচ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে তাঁদের। বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস সংযোগ বন্ধ হওয়ায় ট্যানারিগুলোও গরুর চামড়া কেনা কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ আলোচনা ছাড়া মাংস ব্যবসায়ীদের আলাদা একটি তালিকা করেছে। গাবতলী পশুর হাটে গরু-ছাগলের খাজনা দ্বিগুণ করেছে। সব মিলিয়ে মাংস বিক্রিতে লোকসানের পরিমাণ আরও বেড়ে গেছে। তাই বাড়তি দামেই কেজিপ্রতি পাঁচ শ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের।

ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার গরু-মহিষ ও দেড় হাজার ছাগল-ভেড়ার চাহিদা রয়েছে। এসব গরু-মহিষের সিংহ ভাগ সংগ্রহ করা হয় দেশের দক্ষিণ-উত্তরাঞ্চলের জেলা ও ভারত থেকে। সংগ্রহের পর পশুর চালানের আবার বড় অংশ ঢাকার গাবতলী থেকে মাংস ব্যবসায়ীরা কিনে থাকেন। তাঁদের মাধ্যমেই রাজধানীর গরু-মহিষের মাংস চাহিদা মেটানো হয়। তাই গাবতলী পশুর হাটেই চাহিদার অধিকাংশ গরু-মহিষ বিক্রি হয়। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব পশুর গাবতলীর হাটে বেচাকেনা বেড়ে যায়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগে মাংস ব্যবসায়ীদের গরুপ্রতি ৫০ টাকা, মহিষ ৭০ টাকা ও ছাগলের জন্য ১৫ টাকা করে খাজনা দিতে হতো। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খাজনা পশুর দামের শতকরা সাড়ে ৩ টাকা নির্ধারিত ছিল। সম্প্রতি এই খাজনা গরুপ্রতি খাজনা ১০০ টাকা, মহিষের খাজনা ১৫০ টাকা ও ছাগলের জন্য খাজনা ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া মাংস ব্যবসায়ীদের তালিকা অনুযায়ী এই হারে খাজনা নিয়ে গরু-মহিষ ও ছাগল বিক্রি করছেন ইজারাদারেরা। অবশ্য সাধারণ ক্রেতাদের জন্য পশুর খাজনা শতকরা সাড়ে ৩ টাকাই রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: