ঢাকা | শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি

Admin 1 | প্রকাশিত: ১ মে ২০১৭ ২১:০৮

Admin 1
প্রকাশিত: ১ মে ২০১৭ ২১:০৮

রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের নামে বাস-মিনিবাসের বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল রোববার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, একটি বাস-মিনিবাস ৮০ শতাংশ আসন পূর্ণ করে চলাচল করবে বলে ভাড়া নির্ধারণের সময় উল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, সব যাত্রী সরকার-নির্ধারিত ভাড়ায় আসনে বসে যাতায়াত করবে। অথচ প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ২৫ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কেউ কেউ ২০, ১০ ও ৫ টাকা আদায় করছে। অথচ এই পথে মিনিবাসে ৫ টাকা এবং বড় বাসে ৭ টাকা ভাড়া হওয়া উচিত। রাজধানীজুড়ে এই চিত্র বিদ্যমান।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি স্মারকলিপিতে বলেছে, লোকাল নাম নিয়ে চলা বাস-মিনিবাসগুলোতে সিটিং সার্ভিসের তুলনায় ভাড়া একটু কম। তবে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানো, যেখানে-সেখানে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করা, আসন পূর্ণ হওয়ার পর মুড়ির টিনের মতো ঠাসাঠাসি করে যাত্রী ভরা হয়। এসব লোকাল বাসে অফিসগামী নারী, স্কুল-কলেজের ছাত্রী, অসুস্থ রোগী ও প্রতিবন্ধীদের যাতায়াত অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এসব বাসে চড়ে গন্তব্যে যাওয়ার পর কাপড়চোপড় পরিষ্কার রাখা দায় হয়ে পড়ে। আর পকেটমার ও ছিনতাই তো আছেই। এসব সমস্যার কারণেই কিছু যাত্রী সিটিং সার্ভিসের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। আর যাত্রীদের দুর্বলতা পুঁজি করে মুনাফাশিকারি বাস-মিনিবাসের মালিকেরা ভাড়া-নৈরাজ্যে মেতেছেন।

এসব অনিয়ম ও বৈষম্যের অবসান চেয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, রাজধানীতে নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী বহন ও রুট পারমিটের শর্ত মানতে মালিকদের বাধ্য করতে হবে।

স্মারকলিপি দেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর আইন উপদেষ্টা রাফিউল ইসলাম; যাত্রী কল্যাণ সমিতির এম মনিরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সামসুদ্দীন চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম, জিয়াউল হক চৌধুরী প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: