ঢাকা | রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট শুরু করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

Admin 1 | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৬

Admin 1
প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৬

বাংলাদেশের বিমান পরিবহন সেক্টরে একটি অন্যতম বেসরকারী বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠার মাত্র দু’বছরের মধ্যে ঢাকা-কাঠমুন্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে দেশের সকল বিমানবন্দর ছাড়াও কলকাতা ও মাস্কাট রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী পহেলা মার্চ থেকে ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা এবং ৯ই মার্চ থেকে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে।

আগামী পহেলা মার্চ থেকে শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ দ্বারা রাত ৮টায় ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং কুয়ালালামপুরের স্থানীয় সময় রাত ২ টায় পৌঁছাবে এবং শনি ও রবিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৩ টায় কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং ভোর ৫ টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করবে।

এছাড়া আগামী ৯ই মার্চ থেকে রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রতিদিন রাত ১১টায় ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে পৌঁছাবে এবং সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় অবতরন করবে।

ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ নূন্যতম ভাড়া ওয়ান ওয়ে ২০,৪৯৯ টাকা এবং রিটার্ন ২৭,৯৯৯ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। এবং ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের ভাড়া ওয়ান ওয়ে ১৯,৯৯৯ টাকা এবং রিটার্ন ৩১,৯৯৯ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে পেরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স পরিবার অত্যন্ত গর্বিত। খুব শীঘ্রই ব্যাংকক, গুয়াংজুহ, দোহাসহ অন্যান্য গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দু’টি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পর বর্তমানে তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট এবং দু’টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটসহ মোট পাঁচটি এয়ারক্রাফট রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে। চলতি মাসের ২৪ তারিখে আরো একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট ইউএস-বাংলা’র বিমান বহরে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে চতুর্থ বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং আরো একটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট ইউএস-বাংলা’র বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ বছরের শেষ নাগাদ বহরে বড় এয়ারক্রাফট সংযোজনের মাধ্যমে সৌদি আরবের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করার পর মাত্র আড়াই বছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সেক্টরে ইতিমধ্যে বিশ হাজারের অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, যা বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে একটি মাইল ফলক। প্রতি সপ্তাহে বর্তমানে ২০০টির অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সই একমাত্র বেসরকারী এয়ারলাইন্স, যা বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাত্রী সাধারনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন মাস্কাট এবং ঢাকা থেকে প্রতিদিন কলকাতা রুটে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া সপ্তাহে তিনদিন ঢাকা থেকে কাঠমুন্ডু রুটে ফ্লাইট চলাচল করছে।

ইতিমধ্যে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে ঢাকা- কক্সবাজার ও ঢাকা-যশোর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৬টি ফ্লাইট, ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে ২টি, ঢাকা-সিলেট রুটে ১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে সপ্তাহে ৩টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

এছাড়া, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ দ্বারা প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে করছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর মাত্র দু’বছরের মধ্যেই দেশের বেসরকারী এয়ারলাইন্স গুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ রুটের শতকরা ৫০ ভাগ যাত্রী এককভাবে পরিবহন করে দেশের আকাশ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে সুদৃঢ়। যার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৫ সালে বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন্সের মর্যাদা লাভ করেছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক গন্তব্যে এশিয়ার একটি অন্যতম এয়ারলাইন্স হিসাবে পরিচিতি লাভ করার প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে ৯৮.৭% অন-টাইম পারফর্মেন্স নিয়ে বাংলাদেশের স্বীকৃত অন্যতম প্রিমিয়াম এয়ারলাইন্স।

ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, যে সকল ওয়েজ আর্নারস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে যাতায়াত করবে তাঁদের জন্য আলাদা হেল্প ডেস্ক থাকবে, যেখান থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
 
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের। ফ্লাইট অবতরন করার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে লাগেজ ডেলিভারী দিচ্ছে ইউএস-বাংলা, যা বাংলাদেশ এভিয়েশন ইতিহাসে একটি রেকর্ড।

এখানে উল্লেখ্য যে, আগামী ১লা মার্চ থেকে বিজনেস ক্লাস প্যাসেঞ্জারদের জন্য বাসা থেকে এয়ারপোর্ট এবং এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় পৌঁছে দিবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: