ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বনানী ধর্ষণ মামলার আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

Admin 1 | প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৭ ০৯:৫৪

Admin 1
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৭ ০৯:৫৪

বনানী ধর্ষণ মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান থেকে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও পুরান ঢাকা এলাকা থেকে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে পুলিশ ও র‍্যাব গ্রেপ্তার করে।

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে বনানী ধর্ষণ মামলার ৫ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রহমত আলী। তিনি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী। তবে এর আগে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ জানিয়েছিলেন যে তাঁর ছেলে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ। মামলার এজাহারে ৫ নম্বর আসামির নাম অজ্ঞাত বলা হয়েছিল।

এদিকে, ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের ইব্রাহিম হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১০। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১০-এর পরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। এ নিয়ে মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এখনো পলাতক রয়েছেন অপর এক আসামি ইমেকার্স ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের স্বত্বাধিকারী নাঈম আশরাফ।

গত ২৮ মার্চ দ্য রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে ৬ মে বনানী থানায় মামলা হয়। ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী শাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, গাড়ি চালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই দুই ছাত্রী জানান, গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে তাঁদের নেওয়া হয়। শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাঁদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডের দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। হোটেলে যাওয়ার আগে দুজনই জানতেন না সেখানে পার্টি হবে। এ সময় তাঁদের সঙ্গে শাহরিয়ার নামের এক বন্ধু ছিলেন। তাঁদের বলা হয়েছিল, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, অনেক লোকজন থাকবে। হোটেলে যাওয়ার পর শাফাত ও নাঈমের সঙ্গে তাঁরা আরও দুই তরুণীকে দেখেন। পরিবেশ ভালো না লাগায় শাহরিয়ারসহ দুই তরুণী চলে আসতে চেয়েছিলেন। তখন আসামিরা শাহরিয়ারের কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে নেন এবং তাঁকে মারধর করেন। এরপর দুই তরুণীকে অস্ত্রের মুখে একটি কক্ষে নিয়ে যান। ধর্ষণ করার সময় শাফাত গাড়িচালককে ভিডিও চিত্র ধারণ করতে বলেন। আর নাঈম তাঁদের মারধর করেন। তাঁরা এ ঘটনা জানিয়ে দেবেন বলে জানানোর পর শাফাত তাঁর দেহরক্ষীকে ওই দুই তরুণীর বাসায় তথ্য সংগ্রহের জন্য পাঠান। লোকলজ্জার ভয়ে এবং মানসিকভাবে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন আসামিরা। তাঁদের কথামতো না চললে বা এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। তাঁকে ও তাঁর বন্ধু রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: