ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ঘর ছাড়ছে ফিলিস্তিনিরা

Biplob | প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২১ ১৬:০৬

Biplob
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২১ ১৬:০৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা আরও জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল।

হামলা থেকে রক্ষা পেতে উত্তর গাজাতে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে আশ্রয় নিতে ছুটছেন তারা। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। যার কারণে অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছে। করোনা মহামারিতে এসব ফিলিস্তিনি স্কুল, মসজিদ এবং অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত নয়।

এছাড়া মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলার সুযোগ নেই।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের চলমান এ সংঘাত ষষ্ঠ দিনে পৌঁছেছে। এখনও গাজা উপত্যকায় আকাশ পথে হামলা চালাচ্ছে দখলদার দেশটি। শনিবারও (১৫ মে) হামলা চালিয়েছে তারা। এমনকি সীমান্তে সেনা ও ট্যাংক মোতায়েন বাড়িয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। অন্যদিকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে হামাস।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার একটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে এই হামলার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।
এ দিকে পশ্চিম তীরেও ছড়িয়ে পড়েছে এ সংঘাত। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় পশ্চিম তীরে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে কয়ক'শ।

ইসরায়েলি বাহিনী চলমান হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও আগুন নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা ছুড়ে। পশ্চিম তীরের সহিংসতাগুলোর মধ্যে এই সংঘাত সর্বোচ্চ মাত্রা পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহের সোমবার থেকে চলমান এই সংঘাতে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩৭ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩৭ শিশু ও ২১ নারী। এ ছাড়া তাদের হামলায় ৯২০ জন আহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।

অন্যদিকে হামাসের হামলায় আট ইসরায়েলি মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত একটি ট্যানেল বন্ধ করতে তারা হামলা চালিয়েছে ও তাতে সক্ষম হয়েছে। আর তাদের হামলায় বিমান ও পদাতিক বাহিনী অংশ নিয়েছে। তবে তারা গাজা সীমান্তে প্রবেশ করেনি। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২২০টি রকেট ইসরায়েল লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকা থেকে ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্য এখন যে সংঘাত চলছে, তা ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে বড় আকারের। গত সোমবার রাত থেকে চলা পাল্টাপাল্টি এই হামলা নিরসন ও যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আহবান জানিয়েছে বিশ্ব নেতৃত্বরা।
যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিশর। দেশটির দুই সূত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মিশর হামাসের সঙ্গে ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্যদেশ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছাতে চেষ্টা করছে।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজার সংঘাত অবসান ঘটাতে তারা জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ফিলিস্তিনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছে, মিশর, জর্ডান ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারীরা শান্তি পুনুরদ্ধারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি তারা।

শুক্রবার যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে দুপক্ষকেই আহবান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে আরবের এই দেশটি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: