-2021-08-18-21-50-27.jpeg)
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।’
বুধবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনুকূল পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছি। সংক্রমণের হার যে পর্যায়ে এলে বিজ্ঞানস্মতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যাবে সে সময় এলেই খুলে দেয়া হবে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই সংকটের একেবারে প্রথম থেকেই আমাদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন, কীভাবে আমরা কত দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি। প্রথম কথা, আমরা যেন আমাদের শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি। দ্বিতীয়ত, তাদের শিক্ষা যেন ব্যাহত না হয়। যতদূর সম্ভব আমরা যেন চালিয়ে যেতে পারি।’
এর আগে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সচিব সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়ার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।
সভায় উপস্থিত এক সচিব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দ্রুত সময়ে স্কুলগুলোও খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। কারণ, শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তারা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।’
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
গত রোববার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে আগামী নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সংক্রমণের হার ১০ শতাংশে নেমে এলে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: