
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার মূল পরিকল্পনা, অস্ত্র ও জঙ্গি সরবরাহে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জঙ্গি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার মামলায় সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
শোলাকিয়া হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বলেন, রাজীব গান্ধীকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. ইকবাল মাহমুদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। তাতে রাজীব গান্ধী শোলাকিয়া হামলার পরিকল্পনা, টাকা, অস্ত্র ও জঙ্গি সরবরাহে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এর আগে সোমবার কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে (৩২) তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। পুলিশ জানায়, রাজীব গান্ধী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামের ওসমান গণির ছেলে। গত ১৩ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে তাঁকে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে আটক করে পুলিশ। পরে গুলশানের হলি আর্টিজান ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে তাঁকে কিশোরগঞ্জে আনা হয়।
গত বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন নামাজ শুরুর আগ মুহূর্তে শোলাকিয়ায় আজিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে পুলিশের তল্লাশির সময় জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা করে। এ ছাড়া তাঁদের চাপাতির কোপে দুই পুলিশ কনস্টেবল মারা যান। এ সময় আরও ১২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলে জঙ্গি আবির রহমান মারা যান। উভয় পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে নিজ বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এলাকার গৃহবধূ ঝরনা রানি ভৌমিক। আটক করা হয় জঙ্গি শফিউল ও স্থানীয় তরুণ জাহিদুল ইসলাম ওরফে তানিমকে। পরে গত বছরের ৪ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ডাংরি এলাকায় র্যাবের সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে শফিউল নিহত হন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: