
জঙ্গি দল আইএসে যোগ দেওয়া ইরানের নাগরিকেরাই তেহরানের পার্লামেন্ট ও ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনির মাজারে হামলা চালিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল) উপসচিব রেজা সাইফুল্লাহি সরকারি টিভিকে গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।
এএফপির খবরে জানা যায়, ইরানে এই প্রথম হামলার দায় স্বীকার করল আইএস। বুধবার আলাদা এই সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছে। সম্প্রতি আইএসের জঙ্গিরা দেশটিতে হামলার হুমকি দেয়।
ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএস ও অন্যান্য জঙ্গি দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ইরানের।
ইরানের সাধারণ জনগণের ৯০ শতাংশ শিয়া মতাবলম্বী। তবে দেশটিতে সংখ্যালঘু সুন্নিগোষ্ঠী রয়েছে। ইরাক ও পাকিস্তান সীমান্তের অস্থিতিশীল এলাকায় সুন্নিদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে এটাই ইরানে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। দেশটির মানুষকে গতকাল সকালের এই দুই হামলা নাড়িয়ে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিবেশে থেকেও দেশটির জনগণ অনেক বেশি স্থিতিশীলতার সঙ্গে নিরাপত্তার মধ্যে দিনযাপন করে আসছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: